বিজেপির কাছে হার স্বীকার উন্নাওয়ের, অত্যন্ত কম ভোটে পিছিয়ে গেল গণধর্ষিতার মা
বিজেপির কাছে হার স্বীকার উন্নাওয়ের, অত্যন্ত কম ভোটে পিছিয়ে গেল গণধর্ষিতার মা
পাঞ্জাব বাদে চার রাজ্যে গেরুয়া ঝড়ে মুখ থুবড়ে পড়ল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই উত্তরপ্রদেশের ওপর নজর ছিল সকলের। বিজেপি নেতৃত্বদের নিরাশ না করে যোগী রাজ্যে ফের উড়ল গেরুয়া আবির। তবে এ সবকিছুর মধ্যেও উন্নাওতে নেমে এসেছে যন্ত্রণার অন্ধকার।
উন্নাও বলতেই মনে পড়ে যায় এই বিধানসভা কেন্দ্রে ১৭ বছরের কিশোরীর গণধর্ষণের কথা। যেই ঘটনার জেরে বিজেপির প্রাক্তন বিধায়ক কুলদীপ সিং সেঙ্গার জেল খাটছেন। সারা দেশ উন্নাওয়ের নাম জেনে গিয়েছে গত পাঁচবছরে। বিধানসভা ভোটে সে নাম আরও পরিচিত হয়েছে। কারণ, এই কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী ছিলেন গণধর্ষিতার মা আশা সিং। কংগ্রেস আক্রান্তের মাকে নির্বাচনে প্রার্থী করে এই কেন্দ্রটি নিজেদের দখলে নিতে চেয়েছিল। কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলে দিল বিজেপি। বৃহস্পতিবার দশ রাউন্ডের গণনার পর এই কেন্দ্র থেকে আশা সিং পেয়েছেন মাত্র ৪৩৮টি ভোট।
উন্নাও বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী বিজেপি প্রার্থী পঙ্কজ গুপ্ত। ২৭ হাজারেরও বেশি ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন তিনি। পঙ্কজ গুপ্তার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৪২,০২১টি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এসপি প্রার্থী অভিনব কুমার। তাঁর প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৩০,৬১২টি। এমনকী কংগ্রেস প্রার্থীর ভোট নোটার চেয়েও কম। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে এই কেন্দ্রে জয়লাভ করে বিজেপি। কিন্তু উন্নাওতে ১৭ বছরের কিশোরীর গণধর্ষণের ঘটনা সামনে আসার পর অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল বিজেপিকে।
কারণ, ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বাঙ্গেরমাউ কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিং সেঙ্গার। নির্যাতিতার বাবা পুলিশি হেফাজতে মারা গেলে ওই ঘটনা অন্য মাত্রা পায়। বাবার ম়ৃত্যুর পর মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বাড়ির কাছে গিয়ে নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন নির্যাতিতা। ২০১৯ সালে নির্যাতিতা এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগও ওঠে। ওই ঘটনায় নির্যাতিতা বেঁচে গেলেও মারা যান তাঁর পরিবারের দুই সদস্য। তবে ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর কুলদীপকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড রায় দেয় দিল্লির এক আদালত।
প্রসঙ্গত, যোগী রাজ্যে সাড়ে তিন দশকের বেশি সময় ধরে কংগ্রেসের পারফরম্যান্স তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। বিজেপির প্রতিদ্বন্দ্বি হিসাবে নাম উঠে এসেছে সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টির। এ বছরের নির্বাচনে কংগ্রেসকে পুনরুজ্জীবন দেওয়ার টার্গেট ছিল প্রিয়াঙ্কার। কিন্তু সেই কাজে ব্যর্থ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।