
পাঁচ রাজ্যে হার, কংগ্রেসে পুনর্গঠন ও পুনর্নির্মাণের দাবি উঠছে
বৃহস্পতিবার পাঁচরাজ্যের বিধানসভা ফল প্রায় নিশ্চিত করছে পাঁচ রাজ্যে কোথাও কংগ্রেস ক্ষমতায় আসছে না৷ যদি না ঘোড়া কেনাবেচার বড় খেলা হয়। দেশের সবচেয়ে প্রাচীন দলের পাঁচরাজ্যে এরকম শোচনীয় পরাজয়ে 'কংগ্রেস সংস্কার'এর দাবি উঠছে দলের অন্দরেই৷ ২০১৭ লোকসভা নির্বাচনে গোয়াতে সরকার গড়তে না পারলেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠ পার্টি ছিল কংগ্রেস। আর পাঞ্জাবে ক্ষমতাসীন দল ছিল কংগ্রেস। দুটি তকমায় এবার হারাতে চলেছে কংগ্রেসে। পাঞ্জাবে ৮০-র বেশি আসন সহ ক্ষমতায় আসতে চলছে আম আদমী পার্টির সরকার। অন্যদিকে গোয়াতে সবচেয়ে বড় দল হিসেবে উঠে এসেছে বিজেপি৷ স্বাভাবিকভাবেই কংগ্রেসের এ হেন পতনে দলের অভ্যন্তরে কংগ্রেস সংস্কার ও পুনর্গঠনের দাবি উঠছে।

পাঞ্জাবে আম আদমি পার্টির কাছে হারছে কংগ্রেস এবং উত্তরাখণ্ড, গোয়া এবং মণিপুরেও ক্ষমতায় ফেরার লড়াইয়ে নেই তার৷ উত্তরপ্রদেশে কিছু আসন কমলেও একপ্রকার ল্যান্ডস্লাইড রেকর্ড জয়ের দিকে এগিয়েছে বিজেপি৷ দেশের সবচেয়ে বেয়ি সংখ্যার বিধায়ক থাকা রাজ্যটিতে আসনের নিরিখে অনেকটা পিছনে কংগ্রেস, রয়েছে চতুর্থ স্থানে রয়েছে। এই ফলাফলের পরই প্রবীণ কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি কংগ্রেসের একাধিক নির্বাচনী পরাজয়ের এবং সর্বশেষ এই নির্বাচনে ফলের পরে একটি, 'পুনর্সংস্কার এবং পুনর্নির্মাণ'-এর কথা বলেছেন৷
সিংভি বলেছেন, 'আমরা যদি পাঁচ রাজ্যে হেরে যাই, তাহলে আমাদের পার্টির পুনর্গঠন এবং পুনর্নির্মাণের কথা ভাবতে হবে।' প্রসঙ্গত কংগ্রেস পাঞ্জাবে তার গতবারের প্রাপ্ত ভোটের অন্তত অর্ধেক এবার হারিয়েছ। কংগ্রেসের হেভিওয়েটরা - মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নি এবং পাঞ্জাব কংগ্রেসের প্রধান নভজ্যোত সিধু - তাদের নির্বাচনী এলাকায় লড়াই করেছেন বটে আপের ঢেউ-এ ভেষে যাচ্ছে পাঞ্জাব৷ অন্তর্দ্বন্দ্বে জর্জরিত কংগ্রেস পাঞ্জাবে আত্ম-ধংসের মোডে রয়েছে।
নির্বাচনের মাত্র চার মাস আগে পাঞ্জাবে কংগ্রেস তাদের মুখ্যমন্ত্রীকে সরিয়েছিল। শেষ মুহুর্তে এই ধরণের পদক্ষেপ একধরণের জুয়া খেলায় বটে৷ তবে পাঞ্জাবে জুয়ার ব্যর্থ হয়েছে কংগ্রেস। এ সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মিঃ সিংভি বলেন, দল শক্তিশালী ছিল, হয়তো কিছু অপ্রীতিকর সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল। আরেক কংগ্রেস নেতা শামা মহম্মদ বলেছেন, পাঞ্জাবে আমাদের নিজেদের কাজ আমাদের ডুবিয়েছে। আমরা আমাদের ভোট ধরে রাখতে পারতাম, কিন্তু আমরা ভুল করেছি।