'ভোট পিছিয়ে রাষ্ট্রপতি শাসন হতে পারে উত্তরপ্রদেশে', টুইটে ইঙ্গিত স্বামী সুব্রহ্মণ্যমের
'ভোট পিছিয়ে রাষ্ট্রপতি শাসন হতে পারে উত্তরপ্রদেশে', টুইটে ইঙ্গিত স্বামী সুব্রহ্মণ্যমের
সম্প্রতি দেশে মোদীর অন্যতম সমালোচক বাইরের কেউ নন খোদ দলেরই পরিচিত মুখ স্বামী সুব্রহ্মণ্যম। শেষ কয়েমাসে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দেগেছেন স্বামী। কখনও সমালোচনা করেছেন মোদীর বিদেশ নীতির তো কখনও কড়া ভাষায় বিরোধিতা করেছেন মোদী সরকারের অর্থনীতির৷ এবার উত্তরপ্রদেশ ভোট নিয়ে বড়সড় ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুললেন স্বামী।
কী বলছেন স্বামী সুব্রহ্মণ্যম?
উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা ভোটকেই পাখির চোখ করেছে বিজেপি৷ যোগীকে আবারও ক্ষমতায় ফেরানোর মাধ্যমে ২০২৪ এর প্রস্তুতি সেরে রাখতে চাইছেন মোদী। শুক্রবার একটি টুইটে স্বামী সুব্রহ্মণ্যম লেখেন, ' ওমিক্রনের কারণে আরও একটি লকডাউন হবে এবং উত্তরপ্রদেশ ভোট সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পিছিয়ে দিয়ে রাষ্ট্রপতি শাসন জারী হতে পারে। যেটা বছরের শুরুতে সরাসরি করা যায়নি সেটাই এবার পরোক্ষে করা হতে পারে।'
স্বামীর টুইটে বিপত্তি!
সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর টুইট সামনে আসার পর এ নিয়ে রীতিমতো সরগরম রাজনীতি৷ শেষ ৩০ বছরে টানা দ্বিতীয়বার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ জোটেনি কারও৷ ২০২২ এ যোগী উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় জিতে সরকার গড়লে তিনি রেকর্ড তো গড়বেনই সঙ্গেই দেশে শক্তিশালী হবে বিজেপি৷ তাই উত্তরপ্রদেশ ধরে রাখতে মরিয়া গেরুয়া শিবির৷ এরকম অবস্থায় বিজেপিরই সাংসদ স্বামীর এ হেন টুইট বিরোদীদের হাতে অস্ত্র তুলে দেবে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না!
দেশে বাড়ছে ওমিক্রন সংক্রমণ!
প্রসঙ্গত দেশে দেশে দ্রুতগতিতে বাড়ছে করোনার নতুন স্ট্রেন ওমিক্রণের সংক্রমন। কর্নাটক থেকে শুরু করে গুজরাট, মহারাষ্ট্র, দিল্লি, চন্ডীগড়, অন্ধ্রপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গে থাবা বসিয়েছে করোনার এই অতি সংক্রমক স্ট্রেন৷ স্বাভাবিকভাবেই ওমিক্রন সংক্রমন আরও একটি লকডাউনের সম্ভাবনা তৈরি করছে। উত্তরপ্রদেশ ভোটে আরও কয়েকমাস রয়েছে৷ এ সময় যদি ওমিক্রন সংক্রমন মাত্রা ছাড়ায় তাহলে বাধ্য হয়েই লকডাউনের পথে হাঁটগে হবে কেন্দ্রকে৷ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হতে পারে রাজ্যে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনগুলি৷ স্বামী সুব্রহ্মণ্যম ঠিক এ জায়গাটি নিয়েই মোদীর কোর্টের বল পাঠিয়েছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা৷
মমতার প্রশংসা করেছিলেন স্বামী!
তবে এর আগেও এই মুহূর্তে দেশে মোদীর অন্যতম বড় বিরোধী দল তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে দিল্লি এসে সাক্ষাৎ করেছিলেন স্বামী। এবং তাঁর পরই মমতাকে দেশের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে যোগ্যতম বলে দাবি করে তাঁর প্রশংসা করেছিলেন স্বামী। একই সঙ্গে চিন ইস্যুতে সংসদে প্রশ্ন করতে না দেওয়া নিয়ে মোদী সরকারের সমালোচনাও করেছিলেন স্বামী সুব্রহ্মণ্যম।