ক্লিনচিট বিতর্ক! 'ঘরোয়া কোন্দলে' বৈঠক থেকে দূরে এক নির্বাচন কমিশনার
আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের বৈঠকে অনুপস্থিত অন্যতম নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসা। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা একের পর এক অভিযোগে ক্লিনচিট দিয়েছে কমিশন।
আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের বৈঠকে অনুপস্থিত অন্যতম নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসা। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা একের পর এক অভিযোগে ক্লিনচিট দিয়েছে কমিশন। সেই সময় অশোক লাভাসা বিরুদ্ধ মত প্রকাশ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, তিনি যে সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন, তাও রেকর্ড করা হোক। যদিও সেই দাবি মানেননি মুখ্য নির্বাচন কমিশনারসহ বাকি দুই সদস্য।
নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চে রয়েছেন, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা। সঙ্গে রয়েছেন, নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাস এবং সুশীল চন্দ্র। নির্বাচন কমিশনের আইনে সর্বসম্মত মত গ্রহণের পক্ষে। কিন্তু তা যদি না হয় সেক্ষেত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ যে দিকে থাকবে, সিদ্ধান্ত সেদিকেই হবে।
৪ মে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে লেখা চিঠিতে অন্যতম নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসা বলেছিলেন, নির্বাচন কমিশনের বৈঠকগুলি থেকে তাঁকে সরে থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে। কেননা সংখ্যালঘু হিসেবে তাঁর সিদ্ধান্ত লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে না। বৈঠকে তাঁর উপস্থিতির কোনও অর্থই থাকছে না বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। এই চিঠি পাওয়ার পর অশোক লাভাসার সঙ্গে বৈঠক ডেকেছিলেন।
শনিবার নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অপর একটি অভিযোগের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ক্লিনচিট দিয়েছে কমিশন। ২১ এপ্রিল গুজরাতের পাটান-এ মোদী বলেছিলেন, অভিনন্দন বর্তমানকে ফিরিয়ে দিতে তিনি পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনার লাভাসা মোদীর যেসব বক্তব্যের ক্ষেত্রে বিরুদ্ধ মত প্রকাশ করেছেন, সেগুলি হল ১ এপ্রিল ওয়ার্ধা ও ৬ এপ্রিল নান্দেদ-এ সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু বক্তৃতা, ৯ এপ্রিল লাতুর ও চিত্রদুর্গে বালাকোটে বিমান হানা নিয়ে প্রথমবারের ভোটারদের কাছে আবেদন। এছাড়াও অমিত শাহকে দেওয়া ক্লিনচিট দেওয়া নিয়েও বিরুদ্ধ মত প্রকাশ করেছিলেন লাভাসা।