‘হাত’ নিয়ে টানাটানি কমিশনে, কংগ্রেসকে প্রতীকহীন করতে মানব-অঙ্গের তত্ত্ব বিজেপির
কংগ্রেস নেতাদের প্রায়শই দেখা যায়, মঞ্চে হাত নেড়ে নিজেদের প্রতীককে ‘আশ্বাসের প্রতীক’ হিসেবে তুলে ধরতে। কংগ্রেসের সাধের সেই হাত প্রতীকে বড় প্রশ্নচিহ্ন তুলে কমিশনে বিজেপি।
কংগ্রেস নেতাদের প্রায়শই দেখা যায়, মঞ্চে হাত নেড়ে নিজেদের প্রতীককে 'আশ্বাসের প্রতীক' হিসেবে তুলে ধরতে। কংগ্রেসের সাধের সেই হাত প্রতীকে বড় প্রশ্নচিহ্ন তুলে কমিশনের দোড়গোড়ায় টেনে নিয়ে গিয়েছিল বিজেপি। কমিশনের কংগ্রেসের প্রতীক-ভাগ্য নির্ধারণ হবে ১৮ এপ্রিল। ওইদিনই জানা যাবে কংগ্রেসের প্রতীকের ভবিষ্যৎ।
কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রতীককে বাদ দেওয়ার আবেদন নিয়ে আইনি-যুদ্ধে নেমেছেন বিজেপি নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, মানব দেহের অংশ হাত। নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে এই হাতা মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট লঙ্ঘল করছে এই প্রতীক। তাই অবিলম্বে এই প্রতীক বাদ দেওয়া হোক। কমিশন এই অভিযোগ গ্রহণ করেছে। আগামী ১৮ এপ্রিল ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার চন্দ্রভূষণ কুমার এই অভিযোগ শুনবেন।
এখন রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠে পড়েছে কংগ্রেসের হাত চিহ্ন আদৌ থাকবে তো! বিজেপি নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায় গত জানুয়ারি মাসে কংগ্রেসের হাত প্রতীকের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তিনি ছ-পাতার একটি আবেদনে অভিযোগ করেছেন, কংগ্রসের এই হাত চিহ্ন জন প্রতিনিধি আইন ও আদর্শ আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেছে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে তিনি হাত প্রতীক খারিজের আবেদন জানান।
বিজেপি নেতার আপত্তি, 'কংগ্রেস প্রতীক মানবদেহের একটি অঙ্গ। ফলে সেই প্রতীক মানুষের সঙ্গে সর্বদা সর্বত্র চলে যায়। কংগ্রেসের এই প্রতীক নির্বাচন বিধির ১৩০ নম্বর ধারা ও জনপ্রতিনিধি আইনের ১৫১ ধারা লঙ্ঘন করছে এই প্রতীক। সর্বদা কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা হাত তুলে ওই চিহ্নে ভোটের কথা স্মরণ করিয়ে দেন বলে বিজেপি নেতার অভিযোগ। এই অভিযোগ নিয়েই তিনি সওয়াল করবেন নির্বাচন কমিশনে।