নির্বাচনের প্রাক্কালে এমনই মন্তব্যের জেরে গুজরাতের আর্চবিশপকে নোটিশ নির্বাচন কমিশনের
দেশকে জাতীয়তাবাদী শক্তির হাত থেকে বাঁচান। গান্ধীনগরের আর্চবিশপের এমনই চিঠির জেরে বিতর্ক ছড়াল। আর এই বিতর্কের জেরে আর্চবিশপকে চিঠি দিল নির্বাচন কমিশন।
দেশকে জাতীয়তাবাদী শক্তির হাত থেকে বাঁচান। গান্ধীনগরের আর্চবিশপের এমনই চিঠির জেরে বিতর্ক ছড়াল। আর এই বিতর্কের জেরে আর্চবিশপকে চিঠি দিল নির্বাচন কমিশন।
গান্ধীনগরের আর্চবিশপ থমাস ম্যাকোয়ান। গুজরাত নির্বাচনের প্রাক্কালে সিনিয়র চার্চম্যানদের চিঠি দিয়েছিলেন তিনি। চিঠিতে বারবার একটাই শব্দ উল্লেখ ছিল জাতীয়তাবাদী শক্তি। দেশকে জাতীয়তাবাদী শক্তির হাত থেকে বাঁচান।
২১ নভেম্বর চিঠিটি লিখেছিলেন থমাস। জাতীয়তাবাদী শক্তি দেশ শাসনের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। গুজরাতের নির্বাচন এর একটা পার্থক্য গড়ে দিতে পারে বলে চিঠিতে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। জাতীয়তাবাদী শক্তি বলতে এখানে বিজেপিকেই বোঝানো হয়েছে।
চিঠিতে আর্চবিশপ আরও বলেছেন, দেশের গণতান্ত্রিক এবং ধর্মনিরপেক্ষতা বিপন্ন। লঙ্ঘিত হচ্ছে মানবাধিকার। পদদলিত হচ্ছে সাংবিধানিক অধিকার। এমন একটা দিন বাদ নেই, যেখানে চার্চ এবং তাদের বিশ্বাসের ওপর আঘাত হচ্ছে না। সংখ্যালঘু, অনগ্রসর শ্রেণি, গরিব মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজনৈতিক বিষয়ে চার্চের মন্তব্য করার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, আর্চ বিশপ বলেন, চিঠিটি সাধারণের উদ্দেশে নয়। শুধুমাত্র আবেদন প্রার্থনা করা হয়েছে চিঠিতে। এমনটাই সাফাই দিয়েছেন আর্চ বিশপ। তিনি জানিয়েছেন, এটাই প্রথমবার নয়, যে এমন একটা চিঠি লেখা হচ্ছে।
এর আগেও নির্বাচনের আগে, তাঁরা মানুষকে এভাবে গাইড করেছেন বলে জানিয়েছেন আর্চবিশপ। । একইসঙ্গে ভোট দিতে তাঁদের উৎসাহিতও করা হয়। এবং নিজের জ্ঞান অনুযায়ী নেতা নির্বাচনেও উৎসাহিত করা হয় বলেও জানিয়েছেন তিনি।
গুজরাতে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষের সংখ্যা খুবই কম। মোট জনসংখ্যার ০.৫১ শতাংশ। তাঁরা সাধারণভাবে কংগ্রেসকেই ভোট দিয়ে থাকেন। অন্যদিকে, অমাস ম্যাকোয়ান গান্ধীনগরের আর্চবিশপ রয়েছেন গত প্রায় দুবছর ধরে।