করোনা সংক্রমণ বাড়বাড়ন্তে ফের একবার মিছিল-সভাতে নিষেধাজ্ঞা জারি করল নির্বাচন কমিশন
দেশে করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ আকার নিয়েছে। প্রায় প্রত্যেকদিন দেশে দুলক্ষেরও বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ওমিক্রনও। এই অবস্থায় উত্তরপ্রদেশ, গোয়া সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। যদিও
দেশে করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ আকার নিয়েছে। প্রায় প্রত্যেকদিন দেশে দুলক্ষেরও বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ওমিক্রনও। এই অবস্থায় উত্তরপ্রদেশ, গোয়া সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। যদিও করোনা পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক সভা, মিছিলের উপর কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি জাতীয় নির্বাচন কমিশনের।
আগামী ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত এই নির্দেশিকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি বিচার করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে।
সংক্রমণ বাড়ছে। এই অবস্থাতেই ভোট হবে পঞ্জাব, গোয়া, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখন্ড এবং মনিপুরে ভোট রয়েছে। যদিও কোভিড বিধি মেনে ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু র্যালি বড় জনসমাবেশ করলে বিপদ বাড়বে। এমনটাই সতর্কবার্তা চিকিৎসকদের।
আর সেদিকে তাকিয়েই আজ অর্থাৎ ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত যে কোনও ধরনের বড় র্যালি, জন সমাবেশের উপর কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করে ছিল নির্বাচন কমিশন। আর তা নতুন করে বাড়ানো হয়েছে। আর তা বাড়িয়ে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত করে দেওয়া হয়েছে। এই সময়সীমার মধ্যে কোনও ধরনের বড় মিছিল কিংবা জনসভা করা যাবে না বলে কড়া নির্দেশ কমিশনের। তবে ৫০ শতাংশ লোককে ইন্ডোর মিটিংয়ের উপর ছাড়পত্র দিয়েছে কমিশন।
আজ শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সহ একাধিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকে বসে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এছাড়াও গোয়া, মনিপুর, পঞ্জাব, উত্তরাখন্ড এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যসচিব এবং এই পাঁচ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকরাও এই বৈঠকে অংশ নেয়। রাজ্য এবং করোনা সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় এই বৈঠকে।
আলাদা আলাদা ভাবে এই পাঁচ রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। আর এরপরেই বড় রাজনৈতিক সভা, মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। কমিশন মনে করছে এখনও সভা কিংবা মিছিল করার পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। যে কোনও প্রকারের জমায়েত বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে মনে করছে কমিশনের দাধিকারিকরা। আর সব দিক ভেবেই এই সিদ্ধান্ত আগামী ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে ভীট করাতে গিয়ে কার্যত প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় কমিশনকে। ব্যাপক সংক্রমণ বেড়ে যায়। আর তাতে আদালতের তোপের মুখে পড়তে হয়। সেই একই অবস্থায় ভোট হতে চলেছে। ভোটের দিন ঘোষণা হলেও এই কোভিড বিধি নিয়ে প্রচন্ড কড়া নির্বাচন কমিশন। এমনকি এই বিষয়ে ধীরে চলো নীতি চলেছে কমিশন। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিকমহল।