দিল্লি হিংসার তদন্তে দুই সরকারি সংস্থার মতভেদ, পুলিশের আবেদনে মুখ ফেরাল নির্বাচন কমিশন
অভাবনীয় ভাবে দিল্লি দাঙ্গার তদন্তে নেমে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল দিল্লি পুলিশ। ভোটার তালিকার ডিজিটাল ডেটাবেস অ্যাকসেস করতে চেয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল দিল্লি পুলিশ। তবে অ্যাকসেস দিতে অস্বীকার করল নির্বাচন কমিশন। তবে দিল্লি পুলিশের তদন্তকারী অফিসার যদি কমিশনে গিয়ে সেখানে বসে সেই তালিকা দেখতে চায়, তবে তার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানায় কমিশন।
কী কারণে ভোটার তালিকার ডেটাবেস দেখতে চাওয়া
আদতে দিল্লি তিনটি জেলা, শাহদারা, উত্তর-পূর্ব দিল্লি এবং পূর্ব দিল্লিতে গত ফেব্রুয়ারি দাঙ্গার আগুনে জ্বলে পুড়ে ছাড়কাড় হয়। সেই হিংসার ঘটনায় বিভিন্ন জায়গার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অনেককেই চিহ্নিত করেছে দিল্লি পুলিশ। তবে বহিরাগত কেই এই দাঙ্গায় জড়িত ছিল কি না, এবং এখনও যেসব অপরাধীদের চিহ্নিত করা যায়নি, তাদের খুঁজতেই এই আবেদন জানিয়েছিল দিল্লি পুলিশ।
হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করে উস্কানি
জানা গিয়েছে ২৩ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি দিল্লির উত্তর-পূর্ব এলাকায় অনেক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করা হয়েছিল। সেখানে পুরোনো অনেক ভিডিও ফরোয়ার্ড করা হয় যেগুলি আদতে দিল্লি হিংসার সঙ্গে যুক্ত নয়। পুরোনো ভিডিও দেখিয়ে সেই গ্রুপগুলিতে ক্রমাগত উস্কানিমূলক বার্তা ছড়ানো হয়। সেই গ্রুপ বানানোর সঙ্গে হয়দার যুক্ত বলে মনে করা হচ্ছে প্রাথমিক ভাবে। যদিও পুলিশের তরফে এখনও খোলশা করে কিছু বলা হয়নি।
কতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল দিল্লিতে
এর আগে দিল্লিতে হিংসা ছড়ানোর ঘটনায় যু্ক্ত থাকার অভিযোগে ১৪০০ জনকে গ্রেফতার বা আটক করা হয়েছিল। ধৃত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়েই হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে এরকম উত্তেজনা ছড়ানোর বিষয়টি সামনে আসে। আরও জানতে আটক হয়দারকে জেরা করছে পুলিশ।
কটি মামলা দায়ের করা হয়?
৪৩৬টিরও বেশি অভিযোগ দায়ের হয়েছে হিংসা সম্পর্কিত ঘটনায়। এই মামলাগুলির মধ্যে ৪৫টি হল বেআইনি ভাবে অস্ত্র রাখার দায়ে। তবে এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ শান্ত আছে বলে দাবি করা হয়। এই হিংসার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা অন্তত ৫০। জখম হয়েছেন আরও ৩৫০ জন।
হিংসার শিকার সব স্তরের মানুষ
দিল্লির হিংসায় যেমন মারা গিয়েছেন এক পুলিশ কনস্টেবল ও আইবি অফিসার, তেমনই মৃতদের মধ্যে রয়েছেন সদ্য বিবাহিত এক ব্যক্তি, একজন ডিজে, এক ব্যবসায়ী, একজন বাবা যে তাঁর সন্তানদের জন্য টফি কিনতে বেরিয়েছিলেন, একজন ৮৫ বছরের বৃদ্ধা। রেহাই পাননি সাংবাদিকরাও। দিল্লি হিংসা চলাকালীন অশান্ত এলাকায় খবর সংগ্রহে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের রোষের সামনে পড়েছেন সাংবাদিকরা।
জল্পনা নয়, সত্যি মারা গিয়েছেন কিম জং উন! উত্তর কোরিয়ার গদিতে ইয়ো জং