
সেনা বনাম সেনার প্রতীক-যুদ্ধে একনাথ শিবির পেল জোড়া তলোয়ার আর ঢাল
সেনা বনাম সেনা যুদ্ধে সরগরম মহারাষ্ট্রের রাজ্য রাজনীতি। উদ্ধব ঠাকরেকে সরিয়ে একনাশ শিন্ডে বিজেপির সমর্থনে কুর্সি দখলের পর নেমেছিলেন প্রতীক যুদ্ধে। শেযমেষ উভয় শিবিরই নতুন প্রতীক নিয়ে আসন্ন নির্বাচনে নামছে। সোমবার নতুন দলরে নাম পেয়েছেন শিন্ডে, তারপর মঙ্গলবারই নির্বাচনী প্রতীক পেয়ে গেলেন। শিবসেনার একনাথ শিবিরের প্রতীক হচ্ছে জোড়া তলোয়ার আর ঢাল।

সোমবার একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা গোষ্ঠী তাঁর পার্টির নতুন পরিচয় পেয়েছিলেন। তাঁর পার্টির নতুন নাম হয় 'বালাসাহেবচি শিবসেনা'। নির্বাচন কমিশনের সবুজ সংকেতে শিন্ডে নেতৃত্বাধীন শিবসেনার নতুন নামকরণ হয়। আবার ওইদিনই নির্বাচন কমিশন উদ্ধবপন্থী শিবসেনাকে নতুন প্রতীক দেয়। তার একদিন পরেই একনাথ শিন্ডে শিবির নতুন প্রতীকও পেয়ে গেলেন।
সম্প্রতি একনাথ শিন্ডে শিবিরের সঙ্গে উদ্ধব ঠাকরে শিবিরের প্রতীক-লড়াই সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট এই বিতর্কের সমাধানের জন্য নির্বাচন কমিশনকে দায়িত্ব দেয়। সেইমতো দুই শিবিরের সওয়াল-জবাব শুনে নির্বাচন কমিশন শিবসেনার প্রকৃত প্রতীক 'সিজ' করে দেয়। অর্থাৎ দুই শিবিরকেই পৃথক পৃথক প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়াইয়ের নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। সেইমতো নির্বাচন কমিশনের তরফেই দলের নাম ও প্রতীক স্থির করে দেওয়া হয়।
শিন্ডে গোষ্ঠী পার্টির নাম 'বালাসাহেবচি শিবসেনা' (বালাসাহেবের শিবসেনা)। নির্বাচন কমিশন এই নতুন নামে সিলমোহর দিয়েছে। আসন্ন নির্বাচনে শিন্ডে শিবির বালাসাহেবচি শিবসেনা হিসেবে লড়াই করবে। আর উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবির নিজেদের শিবসেনা উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে বলে পরিচিতি পাবে বলে ভারতের নির্বাচন কমিশনের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
একনাস শিন্ডেরতবে বালাসাহেবচি শিবসেনার প্রতীক সোমবার ঠিক হয়নি। একনাথ শিন্ডে আরও কিছু বিকল্প চেয়েছিলেন। সেইসব খতিয়ে দেখে এদিন নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দেয়, একনাথ শিন্ডে সেনা জোড়া তলোয়ার আর ঢালকে প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করবে। আর উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা নতুন প্রতীক হিসেবে পেলেন 'মশাল'।
গত জুলাই মাসে মহারাষ্ট্রে উদ্ধব ঠাকরে সরকারের পতন হয় একনাথ শিন্ডে শিবিরের বিদ্রোহের জেরে। একনাথ শিন্ডে তাঁর অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে শিবসেনা নেতৃত্বাধীন সরকার ছেড়ে বেরিয়ে যান। আড়াআড়ি বিভাজন হয় শিবসেনায়। একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে দলত্যাগী বিধায়করা বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে নতুন সরকার গড়েন। সেই সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হন একনাথ শিন্ডে। তারপরই শুরু হয় শিবসেনা দল বা তার প্রতীকের অধিকারের লড়াই। আসল শিবসেনা কে, আর কে শিবসেনার প্রতীকের দাবিদার, তা নিয়ে শেষপর্যন্ত লড়াই সুপ্রিম কোর্ট হয়ে নির্বাচন কমিশনে এলে মধ্যপন্থা অবলম্বন করে সমাধান সূত্র বের করা হয়।