কেজরিওয়ালের বাসভবন ভাঙচুরের ঘটনায় ধৃত আট, তদন্তে সিট গঠনের জন্য আদালতের দ্বারস্থ আপ
কেজরিওয়ালের বাসভবন ভাঙচুরের ঘটনায় ধৃত আট, তদন্তে সিট গঠনের জন্য আদালতের দ্বারস্থ আপ
দিল্লি মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় বৃহস্পতিবার দিল্লি পুলিশ আটজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ আরও অভিযুক্তদের খোঁজ চালাচ্ছে। অভিযুক্তেদের খোঁজে পুলিশ ৬ জনের দল তৈরি করেছে।
গত ৩০ মার্চ মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকারি বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। আম আদমি পার্টি (আপ)–এর বিধায়ক সৌরভ ভরদ্বাজ দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মুখ্যমন্ত্রীর এই বাড়ি ভাঙচুরের বিষয়টা নিয়ে। সৌরভ ভরদ্বাজের আবেদনে আদালতকে এই হামলা ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ, স্বাধীন, ন্যায্য ও নির্দিষ্ট সময় সীমার মধ্যে এই অপরাধের তদন্তের জন্য বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করার জন্য বলা হয়।
সৌরভের এই আবেদনে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের এই হামলার জন্য তিনি বিজেপি কর্মীদের দিকে আঙুল তুলেছেন। আবেদনে এও বলা হয়েছে, 'দিল্লি পুলিশের কৌশলী যোগসাজশে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বিজেপি কর্মীরা।’ আদালতে এখন এই ঘটনার আবেদন বিচারাধীন রয়েছে। জানা গিয়েছে যে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়েছে এবং শুধু তাই নয় মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির চারপাশের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দিল্লি বিধানসভায় দ্য কাশ্মীর ফাইলস–এর প্রচার নিয়ে বিজেপিকে কেজরিওয়ালের কটাক্ষের সম্মুখীন হতে হয়। মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে এই হামলা প্রসঙ্গে, দিল্লির উফ–মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করার জন্য বিজেপিকে দোষারোপ করেছেন। অন্য এক বিজেপি নেতা সৌরভ ভরদ্বাজ দাবি করেন যে বিজেপি অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে খুন করার চেষ্টা করছে। প্রসঙ্গত, বুধবার কেজরিওয়ালের বাসভবন ভাঙচুর করে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) কর্মীরা।
আস্ত পাহাড় কেটে বিক্রি করে দিচ্ছে সরকার, প্রতিবাদে গ্রামবাসী
কাশ্মীরি পণ্ডিতদের গণহত্যাকে মিথ্যা বলার জন্য কেজরিওয়ালের থেকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্য অন্যান্য কর্মীদের নিয়ে প্রতিবাদে বসেন। তেজস্বী সূর্য বলেন, 'কাশ্মীরের হিন্দুদের গণহত্যার জন্য অরবিন্দ কেজরিওয়ালের উপহাসের বিরুদ্ধে বিজেপি যুব মোর্চা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে। যুব মোর্চা কেজরিওয়ালের কাছ থেকে নিঃশর্ত ক্ষমা দাবি করেন। ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত যুব মোর্চা এই প্রতিবাদ চালিয়ে যাবে। রাম মন্দির নিয়ে ঠাট্টা করা, হিন্দু দেবতাদের নিয়ে ঠাট্টা করা, বাটলা হাউসকে প্রশ্ন করা, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে প্রশ্ন তোলা আম আদমি পার্টির নীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।’