ডিম ছুড়ে, কালি ছিটিয়ে কেজরিওয়ালকে 'অভ্যর্থনা' বারাণসীতে
মঙ্গলবার দিল্লি থেকে শিবগঙ্গা এক্সপ্রেসে চেপে তিনি আসেন বারাণসীতে। সকাল আটটা কুড়িতে স্টেশনে নামেন তিনি। তখন সেখানে শয়ে শয়ে সমর্থক এসে জড়ো হয়েছেন। এর পর তিনি সোজা চলে যান গঙ্গার ঘাটে। স্নান করে খালি গায়ে একটি সবুজ লুঙ্গি পরে এগোতে থাকেন সমর্থকদের দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়ে। সাংবাদিকদের বলেন, গঙ্গা খুবই নোংরা হয়ে রয়েছে। গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যানের টাকা কোথায় গেল, কে হজম করল ইত্যাদি প্রশ্ন তোলেন তিনি। ভৈরোঁ মন্দিরে যান পুজো দিতে।
এর পরই নাটক! ভৈরোঁ মন্দির থেকে বেরিয়ে আসেন। সেখানে ততক্ষণে পৌঁছে গিয়েছে কয়েক হাজার লোক। এঁরা নিজেদের নরেন্দ্র মোদীর সমর্থক বলে দাবি করেন। স্লোগান ওঠে "কেজরিওয়াল দূর হটো।" পুলিশ সরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীদের।
কেজরিওয়াল এর পর সোজা যান কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে। কপালে চন্দন লাগিয়ে তিনি যখন মন্দির থেকে বেরিয়ে আসছেন, তখন তাঁকে উদ্দেশ্য করে লোকজন 'বিশ্বাসঘাতক, ভণ্ড' ইত্যাদি বলতে থাকে। নরেন্দ্র মোদীর সমর্থনে জয়ধ্বনি দেওয়া হয়। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে গাড়িতে তুলে দেয়। কিন্তু ওঁর গাড়ি লক্ষ্য করে উড়ে আসে ডিম। পরপর কয়েকটি ডিম ছোড়া হয়।
এদিন বারাণসীতে একটি পথসভা করেন তিনি। বলেন, "নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে লড়াটা একটা ছোটো বিষয়। দেশকে দুর্নীতি থেকে বাঁচানোই হল বড় কথা। বারাণসীতে আমি হেরে যাব, এটা মনে করছি না।" এ কথা শেষ হতে না হতেই পথসভায় হাজির একদল লোক তাঁকে তাক করে কালো কালি ছোড়ে। দেখানো হয় কালো পতাকা। মুহূর্তে তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা। জনতাকে সামলাতে লাঠি চালানো শুরু করে পুলিশ।
তিনি অভিযোগ করেছেন, এই গোলমাল বিজেপি-ই পাকিয়েছে। গোটাটা বিজেপি-র পরিকল্পনা। লোকসভা ভোটে মানুষ এর উপযুক্ত জবাব দেবেন বলে দাবি করেছেন তিনি।