ন্যাশনাল হেরাল্ডের মামলায় সোনিয়া-রাহুলকে ইডির নোটিশ! প্রতিহিংসার রাজনীতি, অভিযোগ কংগ্রেসের
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির (ED) নিশানা কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) এবং কংগ্রেস (Congress) সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। ন্যাশনাল হেরাল্ড (National herald) মামলায় তাঁদেরকে তলব করা হয়েছে ব
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির (ED) নিশানা কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) এবং কংগ্রেস (Congress) সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। ন্যাশনাল হেরাল্ড (National herald) মামলায় তাঁদেরকে তলব করা হয়েছে বলে জাবি করেছে কংগ্রেস। এদিন কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি এবং রণদীপ সুরজেওয়ালা সাংবাদিক সম্নেলন করে এই দাবি করেছেন।
সোনিয়া-রাহুলকে ইডির সামনে হাজিরার নির্দেশিকা
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ২ জুন রাহুল গান্ধীকে এবং ৮ জুন সোনিয়া গান্ধীকে ইডির সামনে হাজির হতে বলা হয়েছে। তবে রাহুল গান্ধী বিদেশে থাকায় তিনি সময় চেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।কংগ্রেসের তরফে অবশ্য রাহুল ও সোনিয়াকে ৪ জুন ইডির সামনে হাজির হওয়ার কথা বলা হয়েছে।
|
কংগ্রেসের নিশানায় মোদী-বিজেপি
এদিনে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সোনিয়া-রাহুলকে ইডির নোটিশের প্রেক্ষিতে কংগ্রেস মুখপাত্রা রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেছেন, ন্যাশনাল হেরাল্ড কাগজটি শুরু হয়েছিল ১৯৪২-এ। সেই সময়ব্রিটিশরা এই কাগদকে চাপে রাখতে চেয়েছিল। আৎ বর্তমানে বিজেপি সরকার ইডিকে ব্যবহার করে সেই কাজই করতে চাইছে। তিনি আরও বলেছেন, প্রত্যেক সময়ে ন্যাশনাল হেরাল্ডকে লক্ষ্য করেবিজেপি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অসম্মান করেছে। কারণ বিজেপির পূর্বসূরিরা দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে যথাযথ ভূমিকা পালন করেনি।
কংগ্রেস মুখপাত্রা বলেছেন আর্থিক তছরুপ না থাকা অবস্থাতেও সেই মামলা দায়ের করায় বোঝা যাচ্ছে সরকারের পদক্ষেপ প্রতিহিংসা, ভয়েই এই কাজ করছে।
ন্যাসনাল হেরাল্ডের ইতিহাস
১৯৩৮ সালে তৎকালীন কংগ্রেস নেতা জওহরলাল নেহরু এবং অন্য স্বাধীনতা সংগ্রামীরা ন্যাশনাল হেরল্ড সংবাদ পত্রের সূচনা করেছিলেন। মূলত ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের উদারপন্থীরা এর পিছনে ছিলেন। সংবাদপত্রটি অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেডের মাধ্যমেপ্রকাশিত হয়েছিল। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে তা কংগ্রেসের মুখপাত্র হয়। ন্যাশনাল হেরল্ড ছাড়াও এজেএস-এর হিন্দি ও উর্দুতে দুটি প্রকাশনা ছিল। ২০০৮ সালে প্রায় ৯০ কোটি টাকা ঋণ রেখেই কাগজটি বন্ধ হয়ে যায়।
মামলা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর উদ্যোগে
প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী দিল্লি হাইকোর্টে সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে জমি দখল এবং হাজার-হাজার কোটির তহবিল অপব্যবহারের অভিযোগ করে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন। তিনি অভিযোগ করেছিলেন গান্ধীরা একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেডকে একটি বেসরকারি সংস্থা ইয়ং ইন্ডিয়া লিমিটেডের মাধ্যমে অধিগ্রহণ করেছিলেন। যার প্রধান ছিলেন রাহুল গান্ধী। এছাড়াও প্রাক্তন আইনমন্ত্রী শান্তিভূষণ এবং এলাহাবাদ-মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি মার্কন্ডেয় কাটজু বলেছিলেন অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেডকে অধিগ্রহণ করার সময় অনেক শেয়ার হোল্ডারকেইনোটিশ দেওয়া হয়নি। আদালতে সুব্রহ্মণ্যম স্বামী অভিযোগ করেছিলেন, বাঁকাপথে এই হাতবদলে ২০০০ কোটি টাকা বেশি সম্পদ দখল করা হয়েছিল। বাজারে অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেডের যে ৯০.২৫ কোটি টাকা ধার ছিল তার মধ্যে ইয়ং ইন্ডিয়া লিমিটেড মাত্র ৫০ লক্ষ টাকা দেয়। প্রসঙ্গত ইডি এই মামলায় তদন্ত শুরু করে ২০১৪ সালে।
সাড়ে ৫ হাজারের বেশি শিক্ষানবিশ নিয়োগ করবে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল! মাধ্যমিক পাশেই সুযোগ