মানিক ঘনিষ্ঠ ২ হিসেব রক্ষককে তলব, বৃহস্পতিবার CGO কমপ্লেক্সে হাজিরার নির্দেশ ইডির
মানিক ঘনিষ্ঠ ২ হিসেব রক্ষককে তলব, বৃহস্পতিবার CGO কমপ্লেক্সে হাজিরার নির্দেশ ইডির
প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে ফের ইডি তৎপরতা। তাপস মণ্ডলকে ৫ দফায় জেরার পর এবার টাকার হদিশ পেতে মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ দুই হিসাবরক্ষককে তলব করল ইডি। বৃহস্পতিবার ইডির দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে তাঁদের। এই দুই হিসাব রক্ষকই মহিষবাথানের অফিসে কাজ করতেন। সেখানেই টাকা আনতে লোক পাঠাতেন মানিক। এমনই দাবি করেছিলেন তাপস মণ্ডল।
মানিক ঘনিষ্ঠ ২ হিসাব রক্ষককে তলব
প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের তৎপর ইডি। মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে জেরা করে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছে ইডি। দফায় দফায় ৫ বার তাপস মণ্ডলকে তলব করে জেরা করেছে তদন্তকারীরা। প্রতিবারই মানিক ভট্টাচার্যকে নিয়ে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য তারা দিয়েছেন তদন্তকারীদের। সেই তথ্যর উপর ভিত্তি করেই এবার এগোতে শুরপ করেছে ইডি। সেকারণেই তলব করা হয়েছে মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ দুই হিসাব রক্ষককে।
কেন হিসাব রক্ষকদের তলব
তাপস মণ্ডল জেরায় জানিয়েছিলেন যে ডিএলএড কলেজে অফ লাইনে ছাত্র ভর্তির জন্য মাথা পিছু ৫ হাজার টাকা করে নিতেন। তার জন্য মহিষবাথানের অফিসে তিনি লোক পাঠাতেন। সেই মহিষবাথানের অফিসেই কাজ করেন এই দুই হিসাব রক্ষক। মানিক ভট্টাচার্য কতটাকা নিতেন মহিষবাথানের অফিস থেকে তার তথ্য জানতেই এই তাপস মণ্ডলের দুই হিসাব রক্ষককে তলব করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। তাঁদের জেরা করে তাপস মণ্ডলের দুই হিসাব রক্ষকের কাছ থেকে মানিক ভট্টাচার্য এবং তাপস মণ্ডলের আর্থিক লেনদেনের হিসাব জানার চেষ্টা করতে চাইছেন।
মানিককে নিয়ে বিস্ফোরক দাবি
মানিক ভট্টাচার্যকে নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন তাপস মণ্ডল। তিনি বলেছিলেন তাঁর মহিষবাথানের অফিস থেকে টাকা আর আর ফাইল যেত মানিক ভট্টাচার্যের কাছে। ডিএলএড কলেজে অফলাইনে ভর্তির জন্য ছাত্রপিছু ৫ হাজার টাকা করে দিতে হত মানিক ভট্টাচার্যকে। সেই টাকা নিতে তাপস মণ্ডলের মহিষবাথানের অফিসে লোক পাঠাতেন মানিক ভট্টাচার্য। তার পরেই আবর ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে তাপস মণ্ডল দাবি করেন মানিক ভট্টাচার্য নয় টাকা যেত বোর্ড অফিসে। সেই টাকা নিয়ে মানিক ভট্টাচার্য কি করতেন তা তাঁর জানা নেই।
বিপুল আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ
প্রাথমিক নিয়োগে ব্যপক আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য কোটি কোটি টাকা আর্থিক লেনদেন করেছেন চাকরি বিক্রি করে এমনই অভিযোগ উঠেছে। প্রায় ২১ কোটি টাকার আর্থিক লেনদেন হয়েছে বলে দাবি করেছেন তদন্তকরারীরা। মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের একাধিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে এই বিপুল আর্থিক লেনদেন করা হত বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।
আর্থিক ভাবে দুর্বল শ্রেণির সংরক্ষণে সবুজ সংকেত শীর্ষ আদালতের