৬২,৪৭৬ কোটি টাকা চিন থেকে পেয়েছে VIVO! ইডি'র হাতে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য
স্মার্টফোন সংস্থা ভিভোর একের পর এক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সারা দেশে সংস্থার মোট ১৯টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে। এই সমস্ত অ্যাকাউন্টগুলি মিলিয়ে ৪৬
স্মার্টফোন সংস্থা ভিভোর একের পর এক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সারা দেশে সংস্থার মোট ১৯টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে। এই সমস্ত অ্যাকাউন্টগুলি মিলিয়ে ৪৬৫ কোটি টাকা ছিল বলে জানা যাচ্ছে। এর মধ্যে ছিল ৬৬ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট।
আর্থিক তছরুপের মামলায় দেশের অন্তত ৫০টি জায়গাতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে ইডির আধিকারিকরা।
কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ৬২,৪৭৬ কোটি টাকা ভিভো চিন থেকে পেয়েছে। জানা গিয়েছে, ভারতে বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হওয়াতে কর দেওয়ার টাকা জোগাড় করাই মুসকিল হয়ে উঠেছিল মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারী এই সংস্থার কাছে। আর সেই সময়ে চিন থেকে নাকি বিপুল ওই পরিমাণ অঙ্কের টাকা পাঠানো হয়েছে বলেই দাবি ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকদের। ভিভো মোবাইলস এবং ভিভো'র সঙ্গে যুক্ত এমন ২৩টি কোম্পানি'র অফিসে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে কেন্দ্রীয় এই সংস্থা।
শুধু টাকাই নয়, prevention of money laundering act- অনুযায়ী তদন্তে নেমে দুকেজি সোনা এবং ২৩ লক্ষ টাকা নগদ উদ্ধার করা হয়েছে। ২০১৪ সালে ১লা অগস্ট ভারতে চালু হয় ভিভো মোবাইলস সংস্থাটি। এরপর ধীরে ধীরে মোবাইলের জগতে এই সংস্থা জায়গা করে নেয়। এই সংস্থা চালায় বেশ কয়েকজন চিনা নাগরিক।
প্রথমে হংকংয়ের একটি কোম্পানির নামে দিল্লিতে রেজিস্টার হয়। আর তা হয় ২০১৪ সালে। এরপর সেই বছরের ডিসেম্বর মাসে GPICPL নামেও আরও একটি রেজিস্ট্রেশন হয়। আর তা হয় শিমলাতে রেজিস্ট্রেশনের ঠিকানা হিসাবে জম্মু, হিমাচল প্রদেশ সহ বেশ কয়েকটি জায়গা'র নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাতে।
কার্যত ইডির তদন্তকারীরা মনে করছেন, পুরো বিষয়টি'র মধ্যে বড়সড় কেলেঙ্কারি লুকিয়ে আছে। বলে রাখা প্রয়োজন, ২০২২ সালে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট একটি মামলা দায়ের করেন। দিল্লির একটি এফআইআরের ভিত্তিতে এই মামলা দায়ের হয়। Ministry of Corporate Affairs-এর তরফে GPICPL নামে এফআইআর করা হয়।
পরে অভিযোগ প্রমাণিত হলে GPICPL ডিরেক্টররা যে ঠিকানাগুলি উল্লেখ করেছিলেন তা আসলে ভুয়ো। ওই ঠিকানাগুলি আসলে সরকারি ভবন এবং আধিকারিকদের ঠিকানা।
ইডি'র তরফে আরও জানা গিয়েছে, ভিভো সংস্থার কর্মী এবং বেশ কয়েকজন চিনা নাগরিক তাঁদেরকে তল্লাশি চালাতে বাধা দেয়। ভারতে চিনা দূতাবাসের এক মুখপাত্র বিবৃতিতে জানিয়েছেন, আইন মেনে ভারতীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করুক। তাতে সমস্যা নেই। তবে এতে যেন চিনা সংস্থাকে কোনও বিদ্বেষের মুখে না পড়তে হয়।