পাঞ্জাব ভোটের আগে ''মানি লন্ডারিং' কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী চান্নির ভাইপোর বাড়িতে ED-র তল্লাশি
পাঞ্জাব ভোটের আগে ''মানি লন্ডারিং' কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী চান্নির ভাইপোর বাড়িতে ED-র তল্লাশি
পাঞ্জাবে ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে৷ ২০ ফেব্রুয়ারি একদফায় বিধানসভা নির্বাচনের ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এর মাঝেই মঙ্গলবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট পাঞ্জাবে অবৈধ বালি খনির কোম্পানিগুলির বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের তদন্তের অংশ হিসাবে রাজ্যে একাধিক স্থানে অনুসন্ধান চালাচ্ছে। এদিন সকালে মোহালিতে মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নির ভাগ্নে ভূপিন্দর সিং হানির বাসভবনেও তল্লাশি চালায় ইডি! পিটিআই সংবাদমাধ্যমের খবর শুধু ভূপিন্দরের বাড়িই নয় সঙ্গে ফেডারেল এজেন্সির আধিকারিকরা রাজ্যের ১০ থেকে ১২ টি স্থানে অভিযান চালিয়েছে এবং প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট (পিএমএলএ)-এর অধীনে ব্যবস্থাও নিয়েছে।
সূত্রের খবর ২০ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের আগে পর্যন্ত পাঞ্জাবে ইডির এই অভিযানগুলি ধারাবাহিকভাবেই চলবে৷ কংগ্রেস এবং অন্যান্য বিরোধী দলগুলি বারবার বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ইডি, এবং সিবিআই-এর মতো কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাগুলির অপব্যবহার করে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ এবং দমন কার্যের জন্য অভিযুক্ত করেছে। অন্যদিকে গত মাসে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং অভিযোগ করেছিলেন যে রাজ্যের সমস্ত কংগ্রেস বিধায়ক বালির অবৈধ ব্যবসায় জড়িত। অমরিন্দর সিং, গত বছরের সেপ্টেম্বরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করার পরে কংগ্রেস দল ছেড়েছিলেন। তখন তিনি দাবি করেছিলেন যে অবধৈ বালি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বিধায়কদের সম্পর্কে তিনি কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীকে জানিয়েছিলেন।
যদিও অমরিন্দর সিং অবৈধ বালি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত কোনও বিধায়কদের নাম প্রকাশ করতে অস্বীকার করেছিলেন। এবং এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানিয়েছিলেন, আমাকে জিজ্ঞাসা করুন কে জড়িত নয়। আমি যদি নাম বলা শুরু করি তাহলে আমাকে ওপর থেকে শুরু করতে হবে।'
প্রসঙ্গত, প্রথমে ১৪ ফেব্রুয়ারি পাঞ্জাবে ভোট ঘোষণা করলেও তারপর সোমবারই তা পরিবর্তন করে নির্বাচন কমিশন৷ ১৬ ফেব্রুয়ারি গুরু রবিদাসের জন্মবার্ষিকী৷ যিনি পাঞ্জাবের এক বড়অংশের এসসি সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক। তাই তাঁর জন্মদিনে পাঞ্জাবের বড় অংশের মানুষ বারানসী আসেন প্রতিবছর। এই অনুষ্ঠানটি গুরুপূর্ব নামেই পরিচিত পাঞ্জাবে৷ কোভিড পরিস্থিতিতেও যাতায়াতে বিশেষ কড়াকড়ি না থাকার কারণে পাঞ্জাবের মোট জনসংখ্যার বড় অংশের মানুষ বারানসি যেতে পারে বলে মন করছে রাজনৈতিক দলগুলি৷ এবং সেখান থেকে বিজেপি, পাঞ্জাব লোক কংগ্রেস এবং পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণ সিং চান্নি নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করেছিল ১৪ তারিখ নির্বাচন স্থগিত রাখার জন্য৷