হাথরাস কাণ্ডে মুখোশ খুলল যোগীর পুলিশের, ইডির বক্তব্যে আদিত্যনাথের মাথায় হাত
ভীমসেনা প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদসহ ৪০০ জনের বিরুদ্ধে আইন ভাঙার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। পাশাপাশি অভিযোগ করা হয়েছিল যে পিএফআই-এর সঙ্গে যওগ রয়েছে ভীমসেনার। শুধউ তাই নয়, হাথরাসের ঘটনায় বিদেশি ফান্ডিংয়ের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়াতে এই ১০০ কোটি টাকা। তবে এদিন ইডি জানিয়ে দিল, এসব অভিযোগই ভুয়ো।
১০০ কোটি টাকার বিদেশি ফান্ডিংয়ের অভিযোগ
এদিন ইডি স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে ভীমসেনার সঙ্গে পিএফআই-এর কোনও যোগ নেই। তাছাড়া উত্তেজনা ছড়াতে ১০০ কোটি টাকার বিদেশি ফান্ডিংয়ের অভিযোগেরও কোনও প্রমাণ মেলেনি। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই গত কয়েকদিন ধরে যোগী আদিত্যনাথ এবং তাঁর রাজ্যের পুলিশ হাথরাস কাণ্ড নিয়ে নির্যাতিতার পরিবারকেই উল্টে দোষী সাব্যস্ত করার লক্ষ্যে উঠে পড়ে লেগেছিল।
হাথরসের ঘটনাকে ঘিরে অন্য চক্রান্তের অভিযোগ
হাথরসের ঘটনাকে ঘিরে অন্য কোনও চক্রান্ত রয়েছে বলে মত প্রকাশ করেছিল উত্তরপ্রদেশের প্রশাসন এবং পুলিশ। দেশদ্রোহিতা, ষড়যন্ত্র, জাতিগত ও ধর্মীয় বিদ্বেষে প্ররোচনা দেওয়া, ইলেকট্রনিক প্রমাণগুলির উপর কাটাছেঁড়া করা, রাজ্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও মানহানির মামলা রুজু করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই সংক্রান্ত ১৯টি মামলা রুজু করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
১১ দিন পর নমুনা পরীক্ষা নিয়ে জল্পনা
প্রসঙ্গত, হাথরসের ঘটনায় ঠিকমতো তদন্ত না হওয়ার অভিযোগ উঠেছে যোগী সরকার ও পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশের অবশ্য দাবি, ফরেনসিক রিপোর্টে হাথরসের যুবতির শরীরে ধর্ষণের কোনও প্রমাণ মেলেনি। আগ্রার ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে ওই যুবতির নমুনা পরীক্ষা করা হয়৷ ফরেনসিক দল জানায়, ধর্ষণ হয়নি তাঁর৷ যদিও ঘটনার ১১ দিন পর নমুনা পরীক্ষা কতটা সঠিক, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা।
'জাস্টিস ফর হাথরস ভিকটিম' ওয়েবসাইট খতিয়ে দেখেছে ইডি
'জাস্টিস ফর হাথরস ভিকটিম' নামের ওয়েবসাইটটি খতিয়ে দেখেছে ইডি। দাবি করা হয়েছিল যে সেই ওয়েবসাইট খতিয়ে দেখেই নাকি ১০০ কোটি টাকার বিদেশি ফান্ডিংয়ের তথ্য পায়। যদিও এই বিষয়ে এদিন ইডি স্পষ্ট জানায়, এরকম কোনও যোগ তারা খুঁজে পায়নি। এতে ফের একবার প্রমাণিত হল যে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ এই সব দাবি করে তদন্তের মোড় ঘোড়াতে চাইছে।
সাংবাদিকদের গ্রেফতার করে যোগীর পুলিশ
এদিকে কয়েকদিন আগেই হাথরাসে যাওয়ার পথে কেরলের তিন সাংবাদিককে গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। পুলিশের অভিযোগ, এই সাংবাদিকরা পিএফআই-এর সঙ্গে যুক্ত। এই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ-র ১৭ নম্বর ধারার অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, এই তিনজন নাকি হাথরাসে গিয়ে জাতিগত বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করত।
ফের বিপাকে কঙ্গনা, আদালতের নির্দেশে অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর