আরও বিপদে দিল্লির মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন, ঘনিষ্ঠদের বাড়ি থেকে সোনা সহ কোটি কোটি টাকা
Array
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) দুর্নীতির মামলায় দিল্লির মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনের ঘনিষ্ঠদের কাছ থেকে কোটি টাকারও বেশি নগদ ও গয়না উদ্ধার করেছে। সোমবার সত্যেন্দ্র জৈন ও তাঁর সহযোগীদের আবাসিক চত্বরে তল্লাশি চালানো হয়। রিপোর্ট অনুসারে, রাম প্রকাশ জুয়েলারের কাছ থেকে ২.২৩ কোটি টাকা নগদ পাওয়া গিয়েছে, যেখানে একজন বৈভব জৈনের কাছ থেকে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা এবং ১৩৩টি সোনার কয়েন সহ ৪১.৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট গ্রেফতার হওয়া দিল্লির মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনের ঘনিষ্ঠদের বাড়ি রেড করা হয় আর্থিক তছরূপের মামলার তদন্তের জন্য। তার বিরুদ্ধে হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা লেনদেনের মামলা রয়েছে বলে ইডি কর্মকর্তারা বলেছেন। ওই মামলার তল্লাশির জন্য এই রেড করা হয়েছিল, বলে জানা গিয়েছে।
দুর্নীতির অভিযোগে দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনের ঘনিষ্ঠদের থেকে নগদ টাকা, সোনার কয়েন উদ্ধার করেছে ইডি। সত্যেন্দ্র জৈন এবং তার ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক ইডি অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রকে এক হাত নিয়ে আপ প্রধান এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, "বর্তমানে, প্রধানমন্ত্রী সম্পূর্ণ শক্তি দিয়ে আম আদমি পার্টির পিছনে পড়ে রয়েছেন। বিশেষ করে দিল্লির ও পাঞ্জাবের সরকারের পিছনে লেগে রয়েছে কেন্দ্র। একের পর এক মিথ্যা। সব এজেন্সির ক্ষমতা আপনাদের আছে, কিন্তু ঈশ্বর আমাদের সঙ্গে আছেন।"
দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালকে নিন্দা করে বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র টুইটারে লিখেছেন, "সত্যেন্দ্র জৈনের বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা, সোনার কয়েন বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে, কেজরিওয়ালের মতে, তিনি একজন সৎ মানুষ। সত্যেন্দ্র জৈনের দুর্নীতি শুধুমাত্র একটা ঝলক মাত্র। আসল মাস্টারমাইন্ড হলেন কেজরিওয়াল, কেজরিওয়ালের দুর্নীতি বিশ্বকে অবাক করবে।"
৫৭ বছর বয়সী জৈনকে ৩০ মে প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের (পিএমএলএ) ফৌজদারি ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং তিনি ৯ জুন পর্যন্ত ইডি হেফাজতে থাকবেন। গত কয়েকদিন ধরে জৈন এবং কিছু অভিযুক্ত হাওয়ালা অপারেটরদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে সংস্থাটি কিছু নতুন প্রমাণ এবং লিঙ্ক খুঁজে পেয়েছে বলে বোঝা যায়। এই ইনপুটগুলির আরও বিশদ তথ্য সংগ্রহের জন্য অভিযান চালানো হয়েছিল বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
দিল্লির মন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জৈনকে একজন "কট্টর সৎ এবং দেশপ্রেমিক" ব্যক্তি বলেছেন, যাকে "মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে" বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। আপ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলাটি অগাস্ট ২০১৭ সালের একটি এফআইআর থেকে উদ্ভূত হয়েছে যা সিবিআই দ্বারা তার এবং অন্যদের বিরুদ্ধে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পদের অভিযোগে দায়ের করা হয়েছিল।
ডিসেম্বর ২০১৮-তে সিবিআই একটি চার্জশিট দাখিল করেছিল যাতে বলা হয় যে২০১৫-১৭-এর মধ্য জৈনের বে-আইনি সম্পদের মূল্য ১.৪৭ কোটি টাকা , যা তার জ্ঞাত আয়ের উত্স থেকে প্রায় ২১৭ শতাংশ বেশি। আয়কর বিভাগও এই লেনদেনগুলি তদন্ত করেছিল এবং জৈনের নামে "বেনামি সম্পদ" থাকার মামলা করে দেওয়া হয়েছিল।