২১ জুলাই সোনিয়া গান্ধীকে তলব করল ইডি, প্রতিহিংসা বলল কংগ্রেস
ন্যাশানাল হেরাল্ড মামলায় ফের একবার সোনিয়া গান্ধীকে নোটিশ দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আগামী ২১ জুলাই সোনিয়াকে হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এর আগে ন্যাশানাল হেরাল্ড মামলাতে রাহুল গান্ধীকে কয়েক দফায় একাধিকবার জেরা করা হয়েছ
ন্যাশানাল হেরাল্ড মামলায় ফের একবার সোনিয়া গান্ধীকে নোটিশ দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আগামী ২১ জুলাই সোনিয়াকে হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এর আগে ন্যাশানাল হেরাল্ড মামলাতে রাহুল গান্ধীকে কয়েক দফায় একাধিকবার জেরা করা হয়েছে। এবার সেই মামলাতে ফের একবার কংগ্রেস সভানেত্রীকে ফের একবার নোটিশ পাঠাল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
এই মামলায় সোনিয়াকে দ্বিতীয় নোটিশ কেন্দ্রীয় সংস্থার।
নতুন করে এই মামলায় নোটিশ পাঠানোতে নয়া রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। কংগ্রেসের দাবি, প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করে বিরোধীদের হেনস্থা করতে চাইছে। আর সেই কারণেই সোনিয়া গান্ধীকে নোটিশ বলে দাবি কংগ্রেসের। তবে এর বিরুদ্ধে ফের একবার কংগ্রেস পথে নামবে হুঁশিয়ারি নেতৃত্বের। যদিও বিজেপি এহেন দাবি উড়িয়ে দিয়েছে। পালটা দাবি, বিজেপি কখনই এজেন্সি'র তদন্তে হস্তক্ষেপ করে না। আইন আইনের পথে চলছে বলেও দাবি।
প্রসঙ্গত গত ২৩ জুন সোনিয়া গান্ধীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল ইডি। কিন্তু এর আগে তাঁর শরীরে করোনা'র সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর দীর্ঘদিন হাসপাতালেও কাটাতে হয় সোনিয়া গান্ধীকে। যদিও ২৩ শে জুনের আগেই তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান।
ফলে মনে করা হয়েছিল সম্ভবত ন্যাশানাল হেরাল্ড মামলাতে ইডি'র তদন্তে মুখোমুখি হতে পারেন সোনিয়া গান্ধী। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে বিশ্রামের পরামর্শ দেন। ফলে তদন্তকারীদের মুখোমুখি হতে পারেননি তিনি। এজন্য অবশ্য আগেই ইডির কাছ থেকে সময় চেয়ে নেন সোনিয়া।
যদিও মাস ঘুরলেও ইডির তরফে কোনও তৎপরতা দেখা যায়নি। তবে আজ সোমবার ফের একবার সোনিয়া গান্ধীকে তলব করে নোটিশ পাঠাল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
আগামী ২১ জুলাই তাঁকে হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যদিও এর আগে এই মামলায় জুন মাসের শুরুতেই রাহুল এবং সোনিয়া গান্ধীকে নোটিশ করে ইডি। দুজনেই সময় চেয়ে নেন। এরপর যদিও জুনের মাঝামাঝি সময়ে ইডির মুখোমুখি হন রাহুল গান্ধী। যা নিয়ে বিক্ষোভও দেখান কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা।
তবে এই মামলাতে প্রায় ৫০ ঘন্টারও বেশি সময় দফায় দফায় জেরা করেন তদন্তকারীরা। সকাল ১১ টায় ইডি'র অফিসে পৌঁছতেন এবং রাত ৯ টা ১০ পর্যন্ত জেরা পর্ব চলত। কার্যত বিধ্বস্ত হয়ে পড়লেও মনোবল অটুট রাখেন রাহুল গান্ধী। পরে অবশ্য তিনি জানান, '' ইডি আমাকে ভয় দেখাতে পারবে না। এমনকী যেসব অফিসার আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছিলেন, তাঁরাও বুঝে গিয়েছেন, কংগ্রেসের কোনও নেতাকে ভয় দেখানো বা দমিয়ে রাখা যায় না।"
প্রধানমন্ত্রী মোদী'র পাঁচটি 'সত্য' ফাঁস করে দিলেন রাহুল! প্রবল অস্বস্তি বিজেপিতে