কার্তি চিদম্বরমের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করল ইডি, দাবি তহবিল তছরুপের নির্দিষ্ট প্রমাণের
দিল্লির এক আদালতে বুধবার কার্তি চিদম্বরমের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে ইডি।
বুধবার দিল্লির এক আদালতে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের পুত্র কার্তি চিদম্বরমের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করলো ইডি। চার্জশিটে, এয়ারসেল - ম্যাক্সিস তহবিল তছরুপের মামলায় ২৬ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত সংস্থা অ্যাডভান্টেজ স্ট্র্যাটেজিক কনসাল্টিং প্রাইভেট লিমিটেড (এএসসিপিএল) সংস্থাটিকে সবদিক থেকে এবং প্রতিটি বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ করতেন কার্তি বলে দাবি করেছে এনফোর্মেন্ট ডায়রেক্টরেট।
বুধবারের চার্জশিটে টুজি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারি মামলায় কার্তি চিদম্বরম ছাড়াও এএসসিপিএল সংস্থা, চেস ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড সংস্থা, ও আরও কয়েকজনের নাম রয়েছে। চার্জশিটে পরিষ্কার বলা হয়েছে, এএসসিপিএল সংস্থাটি গঠিত হয়েছিল কার্তিরই নির্দেশে, এবং এর সমস্ত বিষয়ের নিয়ন্ত্রণ তাঁর হাতেই ছিল। এমনকী সংস্থাটি গড়ার তহবিলের জোগানও দিয়েছিলেন তিনিই। সংস্থার ইন্টারনাল মেইল থেকেই এসব জানা গিয়েছে বলেই উল্লেখ করা হয়েছে।
চার্জশিটে ইডি জাবি করেছে, 'এফডিআই-এর অনুমোদন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, এএসসিপিএল এয়ারসেল টেলিভেঞ্চার লিমিটেডের কাছ থেকে ২৬ লক্ষ টাকা পেয়েছিল।' এর থেকেই ঘুষ বা টাকা দিয়ে প্রতিযোগিতামুক্ত হওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয় বলে দাবি করা হয়েছে।
ইডি আরও জানিয়েছে, সাধারণত ৬০০ কোটি টাকার বেশি ফর্ন ইনভেস্টমেন্টের অনুমোদন অর্থমন্ত্রী দিতে পারেন না। তা দেয় ক্যাবিনেট কমিটি অব ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স। এক্ষেত্রে প্রস্তাবিত এফডিআই ১৮০ কোটি দেখিয়ে অর্থমন্ত্রক থেকে অনুমোদন দেওয়া হয়। যা আসলে ম্যক্সি সংস্থার দ্বারা অধিকৃত শেয়ারের পার ভ্যালু। আসল এফডিআই-এর পরিমাণ ছিল ৩,৫৬৫.৯১ কোটি!
চেস ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস - সংস্থা কার্তিরই প্রোমোটেড একটি সংস্থা। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ম্যাক্সি সংস্থা ও তার সহযোগী একটি মালয়েশীয় সংস্থার কাছ থেকে ৯০ লক্ষ টাকা পেয়েছিল। বদলে তারা সফ্টওয়্যার সহযোগিতা দিয়েছিল বলে দাবি করেছিল। তদন্তে জানা গেছে ৯০ লক্ষ টাকায় বিক্রি হওয়া ওই সফ্টওয়্যারটি আদতে ভারতীয় আইনের বিভিন্ন ধারা বিষয়ক। তা মালয়েশীয় সংস্থাটির কোনও কাজে লাগার মতো নয়।
এই কেসে এখনও অবধি অন্তত দুবার কার্তি চিদম্বরমের বয়ান নথিভুক্ত করেছে ইডি। মঙ্গলবার দ্বিতীয়বারের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় পি চিদম্বরমকেও। গত ১২ মার্চ সুপ্রীম কোর্ট এই মামলা সহ ২জি স্পের্ট্রাম কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত যাবতীয় মামলার তদন্তের কাজ ৬ মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেয়। তারপর থেকেই ইডি ও সিবিআই তদন্তকারী দুটি সংস্থার মধ্যেই বিশেষ তৎপড়তা দেখা যাচ্ছে।