আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ, ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাবাদের পর ইডি হেফাজতে শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত
আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ, ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাবাদের পর ইডি হেফাজতে শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত
৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর শিবসেনার সাংসদ সঞ্জয় রাউতকে নিজেদের হেফাজতে নিল ইডি। রবিবার সকালেই ইডি সঞ্জয় রাউতের বাড়িতে হানা দেয়। সেখানি তল্লাশি অভিযানের পাশাপাশি ইডির আধিকারিকরা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তারপরেই নিজের বাড়ি থেকে শিবসেনার মুখপাত্র সঞ্জয় রাউতকে ইডির আধিকারিকরা আটক করেন। তাঁকে ইডির দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। পাত্র চাওল দুর্নীতি মামলায় যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে সঞ্জয় রাউতের বিরুদ্ধে।
সকাল থেকেই শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ
রবিবার সাত সকালে শিবসেনার সাংসদ সঞ্জয় রাউতের মুম্বইয়ের বাড়িতে ইডি অভিযান চালায়। ইডির অভিযানের খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই শিবসেনার কর্মীরা সঞ্জয় রাউতের বাড়ির সামনে জড়ো হতে থাকেন। তাঁরা ইডি ও বিজেপির বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। ইডির টানা জিজ্ঞাসাবাদের মাঝখানে সঞ্জয় রাউতকে একবার জানলার সামনে আসতে দেখা যায়। তিনি বাড়ির সামনে জড়ো হওয়া কর্মীদের উদ্দেশ্য করে হাত নাড়ান। রবিবার দুপুরে মুম্বইয়ে ইডি দফতরে নিরাপত্তা হঠাৎ করে বাড়ানো হয়। সঞ্জয় রাউতকে ইডির নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার একটা সম্ভবাবনা দেখা। সেই আশঙ্কাকে সত্যি করেই ইডি সঞ্জয় রাউতকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। ইডি এর আগে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী নবাব মালিককে বাড়ি থেকে আটক করে। সেই সময় ইডি তাঁকে দুই ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করার পরেই আটক করেন।
কেন্দ্রের ষড়যন্ত্রের শিকার
ইডি অভিযানের পরেই প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন সঞ্জয় রাউত। তাঁর বিরুদ্ধে কেন্দ্রের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেন। টুইট করে তিনি বলেন, 'বালা সাহেবের নামে শপথ করে বলছি, আমার সঙ্গে দুর্নীতির কোনও যোগ নেই। উনি আমাদের লড়াই করা শিখিয়েছেন। আমি লড়াই করে যাবো।' তিনি অভিযোগ করেন, উদ্ধব ঠাকরের শিবির ছাড়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করার জন্য ইডির এই অভিযান হয়েছে। তিনি বলেন, মরে গেলেও তিনি শিবসেনা ছাড়বেন না। কখনই তিনি আত্মসমর্থন করবেন না বলেও তিনি টুইটারে জানান।
একাধিকবার ইডির হাজিরা এড়ান রাউত
প্রসঙ্গত, গত ১ জুলাই ইডির দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন শিবসেনা। এর পর ২০ জুলাই ও ২৭ জুলাই তাঁকে ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি হাজিরা দেননি। তিনি জানিয়েছিলেন, সংসদে অধিবেশন থাকার কারণে হাজিরা দিতে পারবেন না। ইডির কাছে তিনি জানিয়েছেন, ৭ অগাস্ট হাজিরা দিতে পারবেন। কিন্তু তার আগেই ইডি তাঁর বাড়িতে অভিযান চালায়। ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে ইডি নিজেদের হেফাজতে নেয়। এর আগে এপ্রিলে ইডি তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের নামে থাকা ১১ কোটি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল।