কোন উপায়ে কালো টাকার লেনদেন বাড়াচ্ছে দেশের বিত্তবানরা, জানাল ইডি
কোন উপায়ে কালো টাকার লেনদেন বাড়াচ্ছে দেশের বিত্তবানরা, জানাল ইডি
বিগত কয়েকবছরে বেআইনি অর্থলগ্নি সংক্রান্ত মামলায় নাম জড়িয়েছে বেশ কিছু বেশ কিছু ধনী ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিদের। এবার বেআইনি অর্থলগ্নির উপর তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেটর বা ইডির দাবি ওই বিপুল পরিমাণ কালো টাকা স্থানান্তর করতে এবং আইনের চোখকে ফাঁকি দিতে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করছে তারা।
তদন্তকারীদের এড়িয়ে যেতে বা ধরা পড়লে তদন্তে বিলম্ব করার জন্য বিভিন্ন বিদেশী ক্ষেত্র জুড়ে অর্থলগ্নির জন্য ওই প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ভিন্ন একটি কর্পোরেট কাঠামো তৈরি করেছে বলে দাবি করেছে ইডি।
এদিকে আগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড হেলিকপ্টার চুক্তিতে অনিয়মের অভিযোগে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের ভাগ্নে রাতুল পুরীর বিরুদ্ধে ২ নভেম্বর চার্জশিট দেয় এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেটর বা ইডি। এই জাতীয় বিদেশি অর্থলগ্নির ক্ষেত্রে গড়মিলের অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য ইতিমধ্যেই ইডির তরফে একটি পৃথক শাখাও খোলা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে ইডির এক আধিকারিক জানান, “ বেআইনি লেনদেনে তদন্তের ক্ষেত্রে বেশ কিছু আইনি জটিলতা থেকে যায়। পাশাপাশি এই ধরণের ঘটনার সাথে সাধারণত যারা জড়িত থাকে তারা খুব বুদ্ধিমানও হয়।”
ধনবান প্রভাবশালী এই ব্যক্তিরা কী ভাবে এই নতুন কারসাজির মাধ্যমে কর্পোরেট পর্দার আড়ালে লুকিয়ে থাকে সেই প্রসঙ্গে জানায় ইডি। রাতুল পুরীর বিরুদ্ধে দেওয়া চার্জশিটে ইডি জানায়, “ এই ধরণের বেআইনি লগ্নির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা সাধারণত হাওলা অপারেটর বা তাদের সহযোগীদের দ্বারা অর্থ পাচার করে থাকেন। পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পাচারকারীদের পাচারের জন্য নির্দেশ জায়গার নির্দেশ দেওয়ার জন্য তারা বিকল্প ই-মেল আইডিও ব্যবহার করেন অনেক সময়। পাশাপাশি কোনও প্রমাণের মাধ্যমে যাতে তাদের দিকে পুলিশের নজর না যায় সেদিকেও সমস্ত দিক দিয়ে বিশেষ নজর রাখেন তারা। ”
পাশাপাশি দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও কর ব্যবস্থা ফাঁকি দিয়ে আরও বৃহৎ পরিমাণে এই বেআইনি লেনদেন চালাতে ওই ধনবান ব্যক্তিরা পৃথক একটি একটি বৈদেশিক কর্পোরেট কাঠামো তৈরি করেছে বলেও দাবি করেছে ইডি।
মাহারাষ্ট্র সরকার গঠনের সুপ্রিম শুনানি : দ্বিতীয় দিন আদালত কক্ষে যা যা হল