অর্থ তছরূপ –প্রতারণা, অ্যামওয়ে ইন্ডিয়ার ৭৫৭.৭৭ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি
অর্থ তছরূপ –প্রতারণা, অ্যামওয়ে ইন্ডিয়ার ৭৫৭.৭৭ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি
অর্থ তছরূপের মামলায় সোমবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এফএমসিজি–এর অ্যামওয়ে ইন্ডিয়ার ৭৫৭.৭৭ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। তদন্ত সংস্থার মতে, সংস্থাটির বিরুদ্ধে মাল্টি–লেভেল মার্কেটিং কেলেঙ্কারি চালানোর অভিযোগ রয়েছে।
ইডি
এক
বিবৃতিতে
বলেছে,
বাজেয়াপ্ত
করা
সম্পত্তির
মধ্যে
তামিলনাড়ুর
দিন্দিগুল
জেলায়
অবস্থিত
অ্যামওয়ের
কারখানা
ও
জমি
রয়েছে।
এছাড়াও
প্ল্যান্ট,
যন্ত্রপাতি,
গাড়ি,
ব্যাঙ্ক
অ্যাকাউন্ট
ও
ফিক্সড
ডিপোজিটও
বাজেয়াপ্ত
করা
হয়
সংস্থার।
এর
আগে
ইডি
অ্যামওয়ের
অন্তর্গত
৩৬টি
বিভিন্ন
অ্যাকাউন্ট
থেকে
অস্থায়ীভাবে
৪১১.৮৩
কোটি
মূল্যের
স্থাবর
ও
অস্থাবর
সম্পত্তি
এবং
৩৪৫.৯৪
কোটি
টাকা
বাজেয়াপ্ত
করেছিল।
তদন্তে ইডি অভিযোগ করেছে যে অ্যামওয়ে সরাসরি মাল্টি–পর্যায়ের নেটোয়ার্কিং মাকের্টিংয়ের আড়ালে পিরামিড প্রতারণা চক্র চালাচ্ছে। এটা লক্ষ্য করা গিয়েছে যে সংস্থার দ্বারা প্রদত্ত বেশিরভাগ পণ্যের দাম খোলা বাজারে পাওয়া নামী নির্মাতাদের বিকল্প জনপ্রিয় পণ্যগুলির তুলনায় অত্যাধিক। ইডির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'আসল সত্য না জেনেই, সাধারণ মানুষ সংস্থার সদস্য হিসাবে যোগদান করতে প্ররোচিত হয় এবং অতিরিক্ত দামে পণ্য ক্রয় করে এবং এইভাবে তাদের কষ্টার্জিত অর্থ হারাচ্ছে। নতুন সদস্যরা পণ্যগুলি ব্যবহার করার জন্য কিনছেন না, বরং তাঁদের ওপরে থাকা সদস্যদের দ্বারা সদস্য হচ্ছেন ধনী হওয়ার জন্য। বাস্তবতা হল যে আপলাইন সদস্যরা প্রাপ্ত কমিশনগুলি পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে প্রচুর অবদান রাখে।’
পতিদাররাই ঘুরিয়ে দেয় গুজরাতের ভোটের হাওয়া , শুরু অঙ্ক কষা
ইডি বলেন, 'সংস্থার পুরো মনোযোগ হল সদস্য হওয়ার মাধ্যমে কীভাবে অন্য সদস্যরা ধনী হতে পারে তা প্রচার করা। পণ্যের প্রতি কোন মনোযোগ নেই। পণ্যগুলি সরাসরি বিক্রয়কারী সংস্থা হিসাবে এই এমএলএম পিরামিড জালিয়াতিকে ঢেকে রাখার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।’