র্যানব্যাক্সির প্রাক্তন কর্ণধার মালবিন্দর সিংকে গ্রেফতার করবে ইডি
র্যানব্যাক্সির প্রাক্তন কর্ণধার মালবিন্দর সিংকে গ্রেফতার করবে ইডি
ফার্মাসিউটিক্যাল জগতের রাজা র্যানব্যাক্সি ল্যাবরোটরিসের প্রাক্তন কর্ণধার মালবিন্দর সিংকে শুক্রবার গ্রেফতার করবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ তছরূপের অভিযোগ রয়েছে। মালবিন্দর সিং ইতিমধ্যেই দিল্লি পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। শুক্রবার তাঁকে ইডির হাতে তুলে দেওয়া হবে।
ইডি মালবিন্দর ও তাঁর ভাই শিবিন্দরের বিরুদ্ধে অর্থ তছরূপের প্রমাণ পেয়েছে। গত বছরই দিল্লি পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে ৭৪০ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করে। শিবিন্দর সিং ও মালবিন্দর সিং দু’জনেই র্যানব্যাক্সি ল্যাবরোটরির উত্তরাধিকার। ওষুধের এই জনপ্রিয় সংস্থাটির প্রতিষ্ঠা করেন তাঁদের বাবা। কিন্তু ২০০৮ সালে তাঁরা এটা জাপানি সংস্থা দাইচি সংকিয়োর কাছে বিক্রি করে দেয় এবং মনোনিবেশ করেন পরিবারের নিজস্ব ফর্টিস হেল্থকেয়ার হাসপাতাল চেইন এবং আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান রিলিজেয়ার এন্টারপ্রাইজে। কিন্তু ২০১৩ সালে দাইচি সংস্থা সিঙ্গাপুরের আদালতের দ্বারস্থ হয় এবং দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে যে তাঁরা র্যানব্যাক্সি বিক্রি করার সময় মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন এবং সংস্থার বিচার বিভাগীয় তদন্তেতর তথ্য গোপন করেছিল। আদালত ২০১৬ সালে দুই ভাইকে নির্দেশ দেয় যে দাইচিকে ২,৫৬২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য। সিঙ্গাপুর আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দুই ভাই ০১৭ সালে দিল্লি হাইকোর্টে যান কিন্তু হাইকোর্টও জাপানি সংস্থাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
অন্যদিকে দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে রিলিজেয়ার অভিযোগ করে জানিয়েছে যে তাঁরা তহবিল সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে এবং দাবি করে যে ফার্মটি পরিচালনা করার সময় শিবিন্দর ঋণ নেয় কিন্তু সেই অর্ছ অন্য সংস্থায় বিনিয়োগ করেন তিনি। ফর্টিস হেল্থ কেয়ার এবং রিলিজিয়ার উভয়ের ওপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাওয়ার পরে ভাইদের লড়াই শুরু হয়। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে হাইকোর্টের নির্দেশ আসার পর ফর্টিস হেল্থ কেয়ারের ডিরেক্টরের পদ থেকে তাঁরা পদত্যাগ করেন। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে শিবিন্দর তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে তাঁদের যৌথ ব্যবসা আরএইচএস হোল্ডিং, রিলিজিয়ার ও ফর্টিসে জুলুমবাজি ও অব্যবস্থার অভিযোগ তোলেন।