ইডির হাতে গ্রেফতার মন্ত্রী নবাব মালিক, মহারাষ্ট্রে এনসিপির ঘরে নতুন সংকট
ইডির হাতে গ্রেফতার মন্ত্রী নবাব মালিক, মহারাষ্ট্রে এনসিপির ঘরে নতুন সংকট
মহারাষ্ট্রে এবার নবাব মালিকের উপর নজর পড়েছে ইডি। আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হল এনসিপি মন্ত্রী নবাব মালিককে। বুধবার বাড়িতে বুধবার সকালেই হানা দেয় ইডির তদন্তকারীরা। কুখ্যাত আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিম এবং তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে নবাব মালিকের বিরুদ্ধে।
সকালবেলাতেই মন্ত্রী নবাব মালিকের বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন ইডির আধিকারীকরা। আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে তাঁর বাড়িতে হাজির হন ইডির আধিকারীকরা। সূত্রের খবর কুখ্যাত আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিম এবং তাঁর ভাই ইকবাল কাসকারের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে নবাব মালিকের এমনই অভিযোগ করা হয়েছে। ইডি নাকি নবাব মালিকের সঙ্গে দাউদের যোগাযোগ খুঁজে পেয়েছে। বেশ কিছু সম্পত্তি কেনাবেচায় আর্থিক দুর্নীতি করেছেন মন্ত্রী এমনই অভিযোগ উঠেছে।
কয়েকমাস আগে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ দাবি করেছিলেন, ১৯৯৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণের ঘটনার সময় বেশ কিছু আর্থিক লেনদেন করেছিলেনব তিনি। দাউদের ছোট বোন হাসিনা পার্কারের দুই সহযোগী সর্দার শাহআলি খান এবং মহম্মদ সলিম ইস্ক পাটেলের সঙ্গে বেশ কিছু সম্পত্তি কেনাবেচা করেছিলেন। কয়েকদিন আগেই গ্রেফতার করা হয়েেছ দাউদ ইব্রাহিমের ভাই ইকবাল কাস্করকে। আর্থিক দুর্নীতি মামলায় নাম রয়েছে দাউদ ইব্রাহিমেরও। এই মামলার তদন্তে কয়েকদিন আগে মুম্বইয়ে হাসিনা পার্কারের বাড়িতেও হানা দিয়েছিল ইডি। তারপরেই ইডি হানা দেয় নবাব মালিকের বাড়িেত।
সকাল থেকে এনসিপি মন্ত্রীর বাড়িতে তাঁকে দেরা করা হয়। তারপরে দুপুরের দিকে তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। দীর্ঘক্ষণ জেরার পর বেশ কিছু অসঙ্গতি থাকায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। মেডিকেল চেকআপের জন্য মন্ত্রীকে মুম্বইয়ের জে জে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইডির অফিস থেকে বেরোনোর সময় নবাব মালিক বলেছেন, আমিই জিতব, কিছুতেই মাথা নোয়াব না। রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী ছিলেন তিনি। নবাবা মালিকের গ্রেফতারিতে চাপ বাড়বে উদ্ধব সরকারের উপরে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানের গ্রেফতারির প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন নবাব মালিক। তিনি বলেছিলেন, চক্রান্ত করে এনসিবি শাহরুখের ছেলেকে গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনায় তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে তীব্র নিশানা করেছিলেন তিনি। সমীর ওয়াংখেড়ে ১৫ কোটি টাকা শাহরুখ খানের কাছ থেকে চেয়েছিলেন বলে প্রকাশ্যে অভিযোগ করেছিলেন নবাব মালিক। এই নিয়ে এনসিপির সঙ্গে বিরোধ চরমে উঠেছিল নবাব মালিকের।