'ফণী' বিধ্বস্ত ভুবনেশ্বর থেকে আংশিক ট্রেন চলাচল চালু
ঘূর্ণিঝড় ফণী বিধ্বস্ত ওড়িশার ভুবনেশ্বর থেকে আংশিক ট্রেন চলাচল চালু করল ইস্ট কোস্ট রেলওয়ে বা ইসিওআর।
ঘূর্ণিঝড় ফণী বিধ্বস্ত ওড়িশার ভুবনেশ্বর থেকে আংশিক ট্রেন চলাচল চালু করল ইস্ট কোস্ট রেলওয়ে বা ইসিওআর। অন্যদিকে, ফণীতে বিপন্ন হওয়া বাড়িগুলি রাজ্য সরকারের আবাস যোজনার অধীনে নতুন করে বানিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। একই সঙ্গে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ে বিপুল ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া কৃষক, উদ্যান পালনকারী, ফিসারি ও পশু খামারের মালিকদের যথাযথ ক্ষতিপূরণের আশ্বাসও দিয়েছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী।
রবিবার সকালে ভুবনেশ্বর থেকে আংশিক ট্রেন চলাচল চালু করেছে ভারতের ইস্ট কোস্ট রেলওয়ে বা ইসিওআর। এদিন ভুবনেশ্বর স্টেশন থেকে নয়টি স্পেশাল দূরপাল্লার ট্রেন ছাড়া হয়। দক্ষিণ ভারতগামী প্রশান্তি এক্সপ্রেস, বিশাখা এক্সপ্রেস, রাজধানী এক্সপ্রেস, কোনার্ক এক্সপ্রেস, হিরাকন্দ এক্সপ্রেসে দুর্যোগে ওড়িশায় আটকে থাকা বহু পর্যটক নিজেদের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। ভুবনেশ্বর-যশবন্তপুর, ভুবনেশ্বর-আনন্দবিহার ও ওড়িশা সম্পর্ক ক্রান্তি এক্সপ্রেসও রবিবার সঠিক সময়ে ছেড়েছে বলে ইসিওআর সূত্রে খবর।
[আরও পড়ুন: শান্তনুর গাড়ি দুর্ঘটনায় চক্রান্ত জ্যোতিপ্রিয়র! পাল্টা তোপ কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের]
রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ফণীর দাপটে ওড়িশার ভুবনেশ্বর থেকে অন্ধ্রপ্রদেশ পর্যন্ত লাইন ও ওভারহেডের তার যতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, তার সিংহভাগ অংশ সারানো হয়ে গেছে। আর যতটুকু কাজ বাকি আছে, তা দ্রুত শেষ করা হবে বলে ইস্ট কোস্ট রেলওয়ে বা ইসিওআরের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এর আগে ফণীর জেরে ভুবনেশ্বর, পুরী, খুরদা রোড সহ ওড়িশার সবকটি স্টেশন থেকে দক্ষিণ ভারতগামী ১৫৯টি ট্রেন বাতিল করেছিল রেল।
[আরও পড়ুন:বিজেপিকে চাপে ফেলতে অখিলেশ সঙ্গী করলেন 'বাবা'কে! পাল্টা দিলেন যোগী আদিত্যনাথ]
অন্যদিকে, ঘূর্ণিঝড় ফণীর দাপটে তছনছ হয়ে যাওয়া ওড়িশায় সবুজায়নের লক্ষ্যে রাজ্যজুড়ে নতুন করে বৃক্ষরোপন করার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। ওদিকে, ভয়ঙ্কর দুর্যোগের মুখে একদিনেরও কম সময়ে যে তৎপরতায় ওড়িশা সরকার ও ভারতের আবহাওয়া দফতর লক্ষ লক্ষ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যেতে পেরেছে, তার ভূয়শী প্রশংসা করেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। এত বড় দুর্যোগে গোটা ওড়িশায় মাত্র ১২ জনের মৃত্যুকে বড় সাফল্য হিসেবেই দেখছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ।