'ধনীদের প্রতিশোধ', ভারতের প্রবদ্ধির হার হ্রাস নিয়ে মন্তব্য অর্থনীতিবিদের
ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার কমছে বিগত কয়েকটি ত্রৈমাসিক যাবত। এই বৃদ্ধির হারে হ্রাসকে ধনীদের প্রতিশোধ বলে আখ্যা দিলেন প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ তথা ইকোনমিক গ্রোথ ওয়েল্থফেয়ার ফাউন্ডেশনের সিইও ডঃ চরণ সিং।
ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার কমছে বিগত কয়েকটি ত্রৈমাসিক যাবত। এই বৃদ্ধির হারে হ্রাসকে ধনীদের প্রতিশোধ বলে আখ্যা দিলেন প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ তথা ইকোনমিক গ্রোথ ওয়েল্থফেয়ার ফাউন্ডেশনের সিইও ডঃ চরণ সিং।
গত ত্রৈমাসিকে ভারতের প্রবৃদ্ধি হার ৪.৫ শতাংশ
শুক্রবার প্রকাশ পায় চলতি আর্থক বর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের ভারতের প্রবৃদ্ধির হার। গত ছয় বছরে এই হার সব থেকে নিচে মেনে গিয়েছে। মাত্র ৪.৫ শতাংশ এই বৃদ্ধির হার প্রসঙ্গে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে চরণ সিং বলেন, "আমি এই পুরো বিষয়টি নজরে রেখেছি। আমার মনে হয় এটা দেশের ধনীদের তরফে একপ্রকার প্রতিশোধ।"
ধনীরা প্রচুর কর্মসংস্থান তৈরি করে
নিজের এই মন্তব্যের প্রক্ষে যুক্তি দিতে চরণ সিং বলেন, "ধনীরাও এই দেশের বাসিন্দা। তারা এই দেশে সংগঠিত বা অসংগঠিত খাতে প্রচুর কর্মসংস্থান তৈরি করে। যদি কোনও কারণে তাদের মনে হয় যে তাদের কথা ভাবা হচ্ছে না, এবং তাঁদের অবহেলা করা হচ্ছে তবে তারা অনেক প্রকল্পই বন্ধ করতে শুরু করে। আর এর জের গিয়ে পড়ে দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উপর।" পাশাপাশি দেশের অরিথনীতিকে এগিয়ে যেতে সরকারকে প্রাইভেট সেক্টরকে সমর্থন করার আহ্বান জানা ডঃ সিং।
অর্থনীতির বেহাল দশা
গত আর্থিক ত্রৈমাসিকে এই প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫ শতাংশ। গত বছরে এই ত্রৈমাসিকে ভারতের জিডিপি হার ছিল ৭ শতাংশ। গত ছয় বছরে এটাই জিডিপি হারের নিরিখে সব থেকে কম বৃদ্ধি। পাশাপাশি জানা গিয়েছে প্রথম দুই ত্রৈমাসিকে সরকারের রাজস্ব ঘাটতি ৭.২ লক্ষ কোটি টাকা। যা ইতিমধ্যে সরকারের পূর্ণ আর্থিক বর্ষের বাজেটের হিসাব ছাড়িয়ে গিয়েছে।
কী কারণে এই মন্দা?
দীর্ঘদিন ধরে গাড়ি শিল্পে মন্দা, বুনিয়াদি শিল্পে উৎপাদন সংকোচন, নির্মাণ ও পরিকাঠামো শিল্প বিনিয়োগ কমে আসা সহ বিভিন্ন কারণে জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে অর্থনীতির বৃদ্ধির হার ৪.২ শতাংশ নেমে আসতে পারে বলে এসবিআই রিসার্চ রিপোর্টে বলা হয়েছে। এছাড়া অতিবৃষ্টির কারণে কৃষি ফলন নষ্ট ও খনন প্রক্রিয়া ব্যহত হয়। এর আগে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক, বিশ্ব ব্যাঙ্ক, আইএমএফ সকলেই চলতি অর্থবছরে ভারতের বৃদ্ধির অনুমান কমিয়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে এনেছিল।