ভোটের দিন কাজ, উইপ্রো ও চার কোম্পানিতে তালা ঝোলাল পুলিশ
নিয়মানুযায়ী, ভোটের দিন সব স্কুল-কলেজ, সরকারি-বেসরকারি অফিস, বাণিজ্যিক সংস্থা, হোটেল, সিনেমা হল ইত্যাদি বন্ধ থাকার কথা। কারণ কর্মীদের ছুটি দিতে বাধ্য সকলেই। কিন্তু এই নিয়মের তোয়াক্কা না করে কর্মীদের কাজে আসার নির্দেশ দেয় টেক মহিন্দ্রা, এইচসিএল, সোডেক্সো, উইপ্রো এবং ভোলটাস। যাতে কেউ বুঝতে না পারে, সেই জন্য পিছনের দরজা দিয়ে কর্মীদের ঢোকাচ্ছিল এরা।
বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, উইপ্রোর কিছু কর্মী নির্বাচন কমিশনকে গোপনে বিষয়টি জানান। এ খবর পেয়ে দুপুর নাগাদ এলকোট আইটি পার্কে হানা দেয় নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ। দেখা যায়, কর্মীদের অভিযোগই সত্য। বাইরে থেকে কিছু বোঝার জো ছিল না। কিন্তু ভিতরে রমরমিয়ে চলছিল অফিস। কর্তৃপক্ষ বোঝানোর চেষ্টা করে, তাদের কাজ খুব গুরুত্বপূর্ণ। একদিন অফিস বন্ধ রাখার মানে কোটি কোটি টাকার লোকসান। তাতে চিঁড়ে ভেজেনি। সঙ্গে সঙ্গে অফিস বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। অন্তত দু'হাজার কর্মীকে বলা হয় বাড়ি গিয়ে ভোট দিতে। পুলিশ অফিসের দরজায় তালা লাগিয়ে দেয়। সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
এই প্রবণতা নতুন কিছু নয়। ব্যবসার দোহাই দিয়ে ভোটের সময়ও বিভিন্ন বেসরকারি অফিস খোলা রাখার নজির আছে। কিন্তু এমন কড়া পদক্ষেপের কথা খুব একটা শোনা যায় না। এবার তাই নড়েচড়ে বসেছে নির্বাচন কমিশন। গতকাল তামিলনাড়ুর মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক প্রবীণ কুমার বলেছিলেন, লোকসভা ভোটে কর্মীদের ভোট দেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। তাই সব অফিস বন্ধ থাকবে বৃহস্পতিবার। কেউ এই নির্দেশ অমান্য করলে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দেখা যাচ্ছে, এই হুঁশিয়ারি হালকাভাবে নিয়ে শেষ পর্যন্ত বিপাকে পড়ে গেল টেক মহিন্দ্রা, এইচসিএল, সোডেক্সো, উইপ্রো এবং ভোলটাস।