১৬ মে পর্যন্ত লখনউয়ে সভা নয় রামদেবের, মানা ভোট কমিশনের

লোকসভা ভোট উপলক্ষে গত শুক্রবার এখানে একটি সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেছিলেন,"রাহুল গান্ধীর বিয়ে হচ্ছে না। আসলে ওঁর দেশি মেয়ে পছন্দ নয়। পছন্দ হল বিদেশি মেয়ে। কিন্তু সোনিয়া গান্ধী বলে দিয়েছেন, 'মুন্না, এখন বিদেশি মেয়ে ঘরে এনো না, আগে প্রধানমন্ত্রী হতে হবে।' এখন ছেলে ফাঁপরে পড়ে গিয়েছে। ভাবছে, সত্য়িই তো বিদেশি মেয়ে আনলে যদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ ফসকে যায়। আবার ভারতীয় মেয়েকে বউ করে আনতেও আপত্তি। তাই ফুর্তি করতে গরিব, দলিতদের ঘরে কখনও সখনও পিকনিক, হানিমুন করতে যান।"
যোগগুরুর এই বক্তব্যের পরই তোলপাড় শুরু হয় সারা দেশে। কংগ্রেসের তরফে কড়া নিন্দা করে বিবৃতি দেওয়া হয়। ওইদিন সন্ধেয় রামদেবের ভাষণের ফুটেজ চেয়ে পাঠায় নির্বাচন কমিশন। তা ছাড়া স্থানীয় সূত্র থেকেও খবর নেওয়া হয়। সব দিক খতিয়ে দেখে শেষ পর্যন্ত রামদেবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল নির্বাচন কমিশন।
প্রসঙ্গত, এবারের লোকসভা ভোটে যেন পরস্পরের বিরুদ্ধে খেউড়ের প্রতিযোগিতা চলছে। কখনও বিজেপি-র গিরিরাজ সিং, কখনও সমাজবাদী পার্টির আজম খান, কখনও কংগ্রেসের বেণীপ্রসাদ বর্মা, সলমন খুরশিদ, বাদ যাচ্ছেন না কেউই।
গিরিরাজ সিং বলেছিলেন, "যারা নরেন্দ্র মোদীর বিরোধিতা করছে, তাদের পাকিস্তানে চলে যাওয়া উচিত।" বেণীপ্রসাদ বর্মা পাল্টা বলেছেন, "নরেন্দ্র মোদী একটা পশু।" তারও আগে সলমন খুরশিদ নরেন্দ্র মোদীকে বলেছিলেন, "নপুংসক।" একইভাবে সমাজবাদী পার্টির নেতা আজম খানও কুরুচিকর আক্রমণ শানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে। বারবার নির্বাচন কমিশন নেতাদের শো-কজ করছে, চিঠি পাঠাচ্ছে, তবুও বন্ধ হচ্ছে না পরস্পরের বিরুদ্ধে খেউরের এই প্রতিযোগিতা।