
প্রশিক্ষণ ইভিএম পরিবহণ করার সময় অনিয়ম, বারাণসী এডিএমের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার নির্দেশ ইসির
উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গণনার দু’দিন আগে মঙ্গলবার সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব রাজ্যের শাসক দল বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট চুরি করার অভিযোগ এনেছে। তাঁর দাবি গণনার আগে ইভিএম মেশিনগুলি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন বারাণসী এডিএমের বিরুদ্ধে নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্য কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছে।

সূত্রের খবর, 'নির্বাচন কমিশন উত্তরপ্রদেশের সিইওকে বারাণসী এডিএম এনকে সিংয়ের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেয়। কারণ তাঁর বিরুদ্ধে প্রশিক্ষণ ইভিএম পরিবহণের সময় নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে।’ উত্তরপ্রদেশের সিইও নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করবেন। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সপা প্রধান অখিলেশ যাদব অভিযোগে জানিয়েছেন যে বারাণসীর জেলা শাসক (ডিএম) কাউকে কিছু না জানিয়ে ইভিএম মেশিনগুলি স্থানীয় প্রার্থীদের কাছে স্থানান্তর করছিলেন। সপা প্রধান নির্বাচন কমিশনকে এই বিষয়টি দেখার জন্য অনুরোধ করেন। যাদব বলেন, 'এভাবে ইভিএম পরিবহন করা হলে আমাদের সতর্ক হতে হবে। এটা চুরি করা হচ্ছে। আমাদের ভোট বাঁচাতে হবে। আমরা এর বিরুদ্ধে আদালতে যেতে পারতাম কিন্তু তার আগে আমি মানুষকে আবেদন করব গণতন্ত্রকে বাঁচানোর জন্য।’
হিজাব ইস্যুর মধ্যেই পড়ুয়াদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পাকিস্তানের পতাকার ছবি শেয়ার, কর্ণাটকে বিতর্ক
যাদবের এই গুরুতর অভিযোগের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ভিডিওতে দেখা গিয়েছে ট্রাকে করে ইভিএম মেশিন পরিবহণ করা হচ্ছে। যদিও সপা প্রধানের অভিযোগে সাড়া দিয়ে নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে এই মেশিনগুলি গণনার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের প্রশিক্ষণের জন্য ছিল এবং নির্বাচনের কাজে এগুলি ব্যবহার করা হয়নি। মঙ্গলবার গভীর রাতে উত্তরপ্রদেশের সিইওর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'কোনও রাজনৈতিক দলের লোকেরা গাড়ি থামিয়ে গুজব ছড়িয়েছে এবং অভিযোগ করেছে যে এই ইভিএম নির্বাচনে ব্যবহার করা হয়েছে। জেলা নির্বাচন আধিকারিক (বারাণসী)-র পাঠানো রিপোর্ট অনুযায়ী, তদন্তের সময় জানা গেছে যে এই ইভিএমগুলি প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহার করা হয়।’ এর পাশাপাশি ইভিএমে কারচুপি করার অভিযোগে মথুরায় সরব হন সপা–বসপার কর্মীরা। অন্যদিকে হস্তিনাপুরের সপা প্রার্থী যোগেশ বর্মা চোখে বাইনোকুলার লাগিয়ে স্ট্রংরুমের দিকে নজরদারি চালাতে দেখা যায় মঙ্গলবার।
উত্তরপ্রদেশের পাশাপাশি, পাঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, গোয়া এবং মণিপুর এই চারটি রাজ্যেও বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাঁচটি রাজ্যের ভোট গণনা হবে ১০ মার্চ।