একাধিক আসন থেকে প্রার্থীদের নির্বাচনী লড়াই বন্ধ হোক, সরকারকে আইন সংস্কারের পরামর্শ নির্বাচন কমিশনের
একাধিক আসন থেকে প্রার্থীদের নির্বাচনী লড়াই বন্ধ হোক, সরকারকে আইন সংস্কারের পরামর্শ নির্বাচন কমিশনের
একাধিক আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিরোধিতা করে প্রায় দুই দশক আগেই একটি প্রস্তাব পেশ করা হয়েছিল কেন্দ্র সরকারের কাছে। সেই প্রস্তাবকে পুনরায় সামনে এনে নয়া আইন তৈরি করতে আগ্রহী নির্বাচন কমিশন। এই বিষয়ে ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে নির্বাচন কমিশন। আইন সংস্কারের জন্য কেন্দ্রকে নির্বাচন কমিশন চাপ দিচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে।
সম্প্রতি আইন মন্ত্রকের সচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। সেখানে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের আধিকারিককে ২০০৪ সালে আনা প্রস্তাবকে সংস্কারের জন্য চাপ দেন। বর্তমানে নির্বাচনী আইনে কোনও প্রার্থী যে কোনও নির্বাচনে দুটো ভিন্ন নির্বাচনী এলাকা থেকে প্রার্থী হতে পারবেন। যদি কোনও ব্যক্তি একাধিক আসন থেকে জয়ী হন, তবে যে কোনও একটি আসন ধরে রাখতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সালে নির্বাচনী আইন সংশোধিত করা হয়েছিল। এর আগে কোনও প্রার্থী একসঙ্গে দুটো নির্বাচনী কেন্দ্রে প্রার্থী হতে পারতেন না। কিন্তু ১৯৯৬ সালের আইনের জেরে কোনও প্রার্থী যে কোনও নির্বাচনে দুটো ভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় প্রার্থী হওয়ার সুবিধা পান। এর ফলে কোনও প্রার্থী একসঙ্গে দুটো নির্বাচনী কেন্দ্রে জয় পেলে, উপনির্বাচনের পথে হাঁটতে হয় নির্বাচন কমিশনকে।
কিন্তু ২০০৪ সালে এই আইনের কিছু সংস্কারের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সেই প্রস্তাবে জানানো হয়, কোনও ব্যক্তি এবাবারে একাধিক নির্বাচনী কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হতে পারবেন না। যদি কোনও প্রার্থী একাধিক নির্বাচনী কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং তার জন্য যদি নির্বাচন কমিশনকে উপনির্বাচনের পথে হাঁটতে হয়, সেক্ষেত্রে ওই প্রার্থীকে উপনির্বাচনের খরচ বহন করতে হবে।
তবে
২০০৪
সালে
যখন
আইনটি
সংস্কারের
জন্য
প্রস্তাব
দেওয়া
হয়েছিল,
সেই
সময়
উপনির্বাচনের
খরচ
হিসেবে
বিধানসভা
নির্বাচনের
জন্য
জরিমানা
পাঁচ
লক্ষ
টাকা
ও
লোকসভা
নির্বাচনের
জন্য
১০
লক্ষ
টাকা
জরিমানা
ধার্য
করা
হয়েছিল।
কোনও
প্রার্থী
যদি
দুটি
ভিন্ন
নির্বাচনী
কেন্দ্র
থেকে
জয়
লাভ
করে,
সেক্ষেত্রে
যে
কোনও
একটি
আসন
খালি
করতে।
বিধানসভাতেই মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী, সমস্ত মন্ত্রী-বিধায়কদের আহ্বান
নির্বাচন কমিশনকে উপনির্বাচনের পথে হাঁটতে হয়। কমিশন মনে করে, সেই প্রার্থীর জন্য নির্বাচনী খরচ অনেকটা বেড়ে যায়। পাশাপাশি যে জয়ী আসন ত্যাগ করছেন প্রার্থী, সেখানকার ভোটারদের সঙ্গে অবিচার করা হয়।
দেশের আইন কমিশন মূলত জটিল বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ দেয়। এক্ষেত্রে আইন কমিশন প্রার্থীদের একাধিক নির্বাচনী কেন্দ্রের প্রতিদ্বন্দ্বিতা বন্ধ করার প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে। কিন্তু একাধিক নির্বাচনী কেন্দ্র থেকে জয়ী প্রার্থীকে উপনির্বাচনের খরচ বহনের প্রস্তাব সমর্থন করেনি বলেই জানা গিয়েছে।