ভোর রাতে আচমকাই অস্ত্র বৃষ্টি কাশ্মীর সীমান্তে, পাকিস্তানি ড্রোনকে ঘিরে ফের উত্তেজনা উপত্যকায়
ভোর রাতে আচমকাই অস্ত্র বৃষ্টি কাশ্মীর সীমান্তে, পাকিস্তানি ড্রোনকে ঘিরে ফের উত্তেজনা উপত্যকায়
কয়েকদিন
আগেই
আচমকা
ড্রোন
হানায়
কেঁপে
উঠেছিল
জম্মুর
বিমানঘাঁটি।
এমনকী
তার
আগে
ও
পরে
একাধিক
বার
কাশ্মীরের
আকাশে
বিভিন্ন
আজানা
ড্রোনের
গতিবিধি
নজরে
পড়ে
সকলে।
প্রাথমিক
তদন্তে
গোয়েন্দারা
জানান
এর
পিছনে
হাত
রয়েছে
পাক
মদতপুষ্ট
জঙ্গি
গোষ্ঠীগুলিই।
এবার
ফের
প্রতিরক্ষা
মহলের
উদ্বেগ
বাড়িয়ে
কাশ্মীর
সীমান্তে
অস্ত্রবৃষ্টি
করল
ড্রোন।
তবে
এবারে
উড়ন্ত
ড্রোনটির
গতিবিধি
ধরা
পড়ে
যায়
ভারতীয়
সীমান্তরক্ষীদের
চোখে।
এই কর্মকাণ্ডের পিছনেও পাকিস্তানের হাত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, জম্মু ও কাশ্মীরের সাম্বা জেলার মৌসুমী নদীর কাছেই প্রথম চোখে পড়ে এই ড্রোনটি। ইতিমধ্যেই পাক ড্রোনের ফেলে যাওয়া প্রচুর অস্ত্র আর গোলাবারুদও উদ্ধার হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ভারতীয় সেনার তৎপরতাতেই বড় নাশকতার ছক বানচাল করা গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে এই এলাকাটি আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে আবস্থিত বলে জানা যাচ্ছে।
ভারতীয় সেনা জানাচ্ছে, শুক্রবার ভোরে সাম্বা সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখার পাশে দেখা মেলে এক সন্দেহজনক ড্রোনের। তবে দেখা পাওয়ার কিছু সময়ের মধ্যেই বেপাত্তা হয়ে যায় উড়ন্ত যানটি। পরবর্তীতে ওই এলাকায় তল্লাশি চালানোর পর চোখ কপালে ওঠে সেনার। দেখা যায় একাধিক অত্যাধুনিক পিস্তল, কার্তুজ ও বোমা তৈরি সরঞ্জাম ফেলে গিয়েছে উড়ন্ত ড্রোনটি। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, জঙ্গিদের সাহায্য করতেই হাতিয়ারগুলি নিয়ে এসেছিল পাকিস্তানি ড্রোনটি।
কিন্তু সেনার তৎপরতার ভেস্তে যায় গোটা প্ল্যান। সূত্রের খবর, ড্রোনটি থেকে দুটি পিস্তল পাঁচটি ম্যাগাজিন, ১২২ রাউন্ড গুলি বারুদ আর বেশ কিছু সাইলেন্সার উদ্ধার করা হয়েছে। একটি বড় পলিথিনে মুড়েই সমস্ত অস্ত্রশস্ত্র ফেলা হয়েছিল মৌসুমী নদীর পাড়ে। এদিকে এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে সমস্ত নিরাপত্তা বাহিনীকে সদ সতর্ক থাকতে কড়া নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। পাশাপাশি ইতিমধ্যেই মাঠে নেমে গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছেন জম্মু ও কাশ্মীরের ডিজিপি দিলবাগ সিং।