দেশের ৫০ তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, সুপ্রিম কোর্টের একাধিক সংস্কারের ইঙ্গিত
দেশের ৫০ তম বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন ডিওয়াই চন্দ্রচূড়,
ভারতের ৫০ তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড় শপথ গ্রহণ করেন। রাষ্ট্রপতি ভবনে দ্রৌপদী মুর্মু তাঁকে শপথ গ্রহণ করান। বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় দুই বছরের জন্য দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব সামলাবেন। এর আগে দেশের প্রধান বিচারপতি ছিলেন উদয় উমেশ ললিত। তিনি মাত্র ৭৪ দিনের জন্য দেশের প্রধান বিচারপতি ছিলেন।
বিচারপতি চন্দ্রডূড় ২০১৬ সালের ১৩ মে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে যোগ দেন। তিনি অযোধ্যা জমি বিরোধ এবং গোপনীয়তার অধিকার সহ বেশ কয়েকটি সাংবিধানিক বেঞ্চ এবং যুগান্তকারী রায়ের অংশ ছিলেন। পাশাপাশি ৩৭৭ ধারা, আধার প্রকল্পের বৈধতা, সবরিমালা ইস্যু নিয়ে মামলার গুরুত্বপূর্ণ রায় দেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের আগে তিনি বোম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন। বিচারপতি হওয়ার আগে তিনি বোম্বে হাইকোর্টেরই আইনজীবী ছিলেন।
করোনা মহামারী বিশ্বের পাশাপাশি ভারতের ওপর প্রভাব বিস্তার করেছিল। সেই সময় করোনা মহামারী সংক্রান্ত একাধিক সঙ্কট দেখা দিয়েছিল। চিকিৎসাজনিত সমস্যা থেকে মানবাধিকার সংক্রান্ত একধিক ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। করোনা মহামারীর সময় তিনি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাঁর বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্তে সাধারণ মানুষ ব্যাপকভাবে উপকৃত হয়েছিলেন। তিনি উদারপন্থী ও প্রগতিশীল মানসিকতার বিচারপতি হিসেবে পরিচিত।
ডিওয়াই চন্দ্রচড় প্রয়াত দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ওয়াইভি চন্দ্রচূড়ের ছেলে। ওয়াইভি চন্দ্রচূড় সাত বছর দেশের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। তিনি ভারতে সব থেকে দীর্ঘ সময়ের জন্য প্রধান বিচারতি ছিলেন। ডিওয়াই চন্দ্রচূড় প্রথম বিচারপতি যাঁর বাবাও দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
বিচারপতি চন্দ্রচূড় সেন্ট স্টিফেন কলেজ থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক হন। পরে তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি এবং আমেরিকার হার্ভার্ড ল স্কুল থেকে এলএলএম এবং ডক্টরেট সম্পন্ন করেন। মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাংবিধানিক আইনের অতিথি অধ্যাপক ছিলেন। তিনি বোম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি হওয়ার আগে ১৯৯৮ সালে সিনিয়র আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন। বোম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের আগে অবধি একই বছর তিনি অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল হন। তিনি এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন।
মঙ্গলবার ভারতের প্রধান বিচারপতি পদ থেকে অবসর নেন ইউ ইউ ললিত। তিনি মাত্র ৭৪ দিনের জন্য দেশের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। প্রধান বিচারপতি হওয়ার পর উমেশ বলেছিলেন, তিনি সুপ্রিম কোর্টের বেশ কিছু সংস্কার করবেন। যার জেরে তাঁর উত্তরসূরীদের কাজ করতে কোনও অসুবিধা না হয়। তিনি পাঁচজন বিচারপতির একটি সাংগঠনিক বেঞ্চ গঠন করেন, যা সারা বছর কাজ করবে।
আমেরিকায় ইতিহাস ভারতীয় অভিবাসীর, মেরিল্যান্ডের লেফটেন্যান্ট গর্ভনর হলেন অরুণা মিলার