উত্তর প্রদেশে প্রবল ধুলি ঝড়ে মৃত ৩৪, আহত ৫৭
এক দিকে যখন মৌসম ভবন বর্ষা আসার খবর শোনাল, উত্তর ভারতে তখনও চলছে তীব্র দহন। উত্তর প্রদেশ এবং মধ্য প্রদেশের একাধিক জায়গায় তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
এক দিকে যখন মৌসম ভবন বর্ষা আসার খবর শোনাল, উত্তর ভারতে তখনও চলছে তীব্র দহন। উত্তর প্রদেশ এবং মধ্য প্রদেশের একাধিক জায়গায় তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শুক্রবার এই দুই রাজ্যের একাধিক জেলায় তাণ্ডব চালিয়েছে ধুলোর ঝড়। তাতে মারা গিয়েছেন প্রায় ৩৪ জন। আহতের সংখ্যা ৫৭।
এর মধ্যে শুধু উত্তর প্রদেশের মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের। আর মধ্য প্রদেশের ১৩ বছরের এক কিশোরী সহ মারা গিয়েছে ৮ জন। ধুলোর ঝড়ের সঙ্গে ছিল প্রবল বজ্রপাতও।
মধ্য প্রদেশের রতলাম, দোমহস জব্বলপুরে মোট ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। দীনদরু এবং সিনোইয়ে মোট ২ জন মারা গিয়েছেন। ঝড়ের জেরে কিছুটা হলেও তাপমাত্রা নেমেছে এই এলাকাগুলিতে। তবে এখনই রেহাই নেই গরম থেকে। আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি রয়েছে।
তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পৌঁছনোয় গোয়ালিয়রে স্কুলের ছুটি আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজস্থানেও চলছে তাপপ্রবাহ। বারমেঢ়, কোটা, বিকানেঢ়-এর তাপমাত্রা ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে গিয়েছে। এর মধ্যে চুরুর অবস্থা তো সবচেয়ে সংকটজনক। ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি ঘোরাফেরা করছে এখানকার তাপমাত্রা।
এদিকে পাঞ্জাবের অবস্থাও তেমন ভাল না। অমৃতসর, লুধিয়ানার তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে গিয়েছে। তুলনামূলক ভাবে দিল্লির আবহাওয়া কিছুটা উন্নত হয়েছে। কেরলে বর্ষা ঢুকলেও রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং বিদর্ভে আগামী সাতদিন তাপ প্রবাহ চলবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।