দিল্লির ভয়াবহ দূষণের জন্য দায়ী পাকিস্তান, এমনটাই বলছেন গবেষকরা
দিল্লিতে এই দূষণের মূলে রয়েছে কুয়েত, ইরান ও সৌদি আরবের মতো মধ্যপ্রাচ্যের দেশ। সঙ্গে রয়েছে প্রতিবেশী পাকিস্তানও।
দিল্লি ছেঁয়েছে ঘন কুয়াশার মতো ধোঁয়ার আস্তরণে। ভয়াবহ এই দূষণ দেখে অনেকেই মাথায় হাত দিয়েছেন। কাজে বেরনো তো দূর, বাড়ি থেকেই বেরতে সাহস পাচ্ছেন না অনেকেই। বলতে গেলে দেশের রাজধানীর প্রায় স্তব্ধ হওয়ার আশঙ্কা। এই ঘটনায় পাশের রাজ্য হরিয়ানা ও পাঞ্জাবের দূষণকে দুষে বিতর্ক তৈরি করেছে দিল্লির আম আদমি পার্টি সরকার।
যদিও বিজ্ঞানীরা বলছেন অন্য কথা। তাদের দাবি দিল্লিতে এই দূষণের মূলে রয়েছে কুয়েত, ইরান ও সৌদি আরবের মতো মধ্যপ্রাচ্যের দেশ। সঙ্গে রয়েছে প্রতিবেশী পাকিস্তানও। এই দেশগুলির কারণেই দিল্লির আকাশ ছেঁয়েছে দূষণে।
বছরের এই সময়ে বায়ুমন্ডলের উপরের স্তরে শক্তিশালী বায়ুর আগমন হয়। মধ্যপ্রাচ্য থেকে তা বয়ে ভারতের বায়ুমন্ডলে এসে ঢোকে। মধ্যপ্রাচ্য থেকে উত্তর ভারতের দিকে বয়ে আসার সময়ে সেই ধুলো ভর্তি বায়ু পাকিস্তানের অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করে জলকণার সংস্পর্শে আসে।
ফলে ধুলো ও জলকণা মিলে সাদা ধোয়ার আস্তরণ তৈরি হচ্ছে যা পরিবেশের পক্ষে ভয়ঙ্কর ক্ষতিকর। শুধু দিল্লি নয়, আশপাশের এলাকাও একইভাবে ধোঁয়ার চাদরে ঢেকে গিয়েছে। যা পরিবেশ দূষণের শামিল।
দিল্লিতে রাতে তাপমাত্রা কমে যাচ্ছে। যার ফলে বাতাসের জলীয় বাষ্পের সংষ্পর্শে চলে আসছে এই দূষিত ধোঁয়া। যার ফলে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে উঠছে। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার মহাকাশ থেকে তোলা ছবি থেকে তা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
এমনিতে দিল্লিতে গত বেশ কয়েকবছর ধরে শীতের সময় এমনই অবস্থা হয়। দূষণের মাত্রা অনেকটা বেড়ে গিয়েছে রাজধানীতে। তবে এবছর সেই অবস্থা আরও দশগুণ ভয়াবহ হয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর বেজিংয়ের চেয়েও ভয়াবহ অবস্থা দিল্লির। আর এসবের পিছনে ঘুরিয়ে দায় রয়েছে পাকিস্তানেরও।