কংগ্রেস একা হয়ে গেল, হরিয়ানায় বিজেপির দিকেই হেলে পড়লেন বাকি ১৯ বিধায়কই
বিজেপির মাস্টারস্ট্রোকে আবার দিশেহারা হয়ে গেল কংগ্রেস। শুরুটা ভালো করেও শেষ রক্ষা হল না। শেষমেশ জেজেপি-সহ সমস্ত ছোটদল ও নির্দলেরও সমর্থন আদায় করে নিলেন বিজেপির চাণক্য অমিত শাহ।
বিজেপির মাস্টারস্ট্রোকে আবার দিশেহারা হয়ে গেল কংগ্রেস। শুরুটা ভালো করেও শেষ রক্ষা হল না। শেষমেশ জেজেপি-সহ সমস্ত ছোটদল ও নির্দলেরও সমর্থন আদায় করে নিলেন বিজেপির চাণক্য অমিত শাহ। কংগ্রেসের সরকার গড়ার পরিকল্পনা ভেস্তে গেল এক চালেই। শুক্রবার সন্ধ্যায় অমিত শাহের বাড়িতে ডিল চূড়ান্ত হয়ে গেল।
অনুরগ ঠাকুরের সঙ্গে দুষ্যন্ত অমিত শাহের বাড়িতে আসার পর নিমেষে সব সমস্যার সমাধান। জেজেপি সমর্থনে হরিয়ানার কুর্সির দখল থাকছে গেরুয়া শিবিরের হাতেই। শুক্রবার সন্ধ্যায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ এ কথা ঘোষণা করেন। জেজেপি সুপ্রিমো দুষ্যন্ত চৌতালা ছাড়াও বিজেপিকেই সমর্থন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৯ নির্দল প্রার্থীও।
সবার সমর্থন আদায়ের পর অমিত শাহ বলেন, আগামী পাঁচ বছর হরিয়ানার ক্ষমতা বিজেপি ও জেজেপির হাতেই থাকবে। শনিবার থেকেই সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। তবে কে হবেন মুখ্যমন্ত্রী, তা স্পষ্ট হয়নি। হরিয়ানার কুর্সিতে ফের মনোহরলাল খট্টর বসবেন, নাকি দুষ্যন্ত চৌতালা মুখ্যমন্ত্রী হবেন তা জানা যাবে অচিরেই। তবে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী পদ পাবে বিজেপিই, উপমুখ্যমন্ত্রী পদ পাবে জেজেপি।
দুষ্যন্ত চৌতালা জানিয়েছেন, হরিয়ানায় তারা স্থায়ী সরকার গড়বে। হরিয়ানাকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবেন যৌথভাবে। দুষ্যন্ত চৌতালা যে সমস্ত দাবি জানিয়েছিল, তা মেনে নিয়েছে বিজেপি। শেষপর্যন্ত অমিত শাহের মাস্টারস্ট্রোকে কুপোকাত কংগ্রেস। হরিয়ানায় লড়াইয়ে ফিরেও ক্ষমতা দখলে ব্যর্থ হল তারা।
হরিয়ানায় বিজেপি ও কংগ্রেস কেউই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ফলে জেজেপির দিকে তাকিয়ে ছিল উভয়েই। শেষমেশ দুষ্যন্ত চৌতালা সাড়া দিলেন বিজেপির ডাকেই। উল্লেখ্য, ৯০ আসনের হরিয়ানা বিধানসভায় বিজেপি পেয়েছে ৪০টি আসন, কংগ্রেস ৩১টি, জেজেপি ১০টি, আইএনএলডি ১টি, অন্যান্যরা ৮টি।