শুধু শ্বাসকষ্ট বা লকডাউনের আর্থিক ক্ষতি নয়! করোনা নিয়ে আরও বড় আশঙ্কা গবেষকদের
শুধু শ্বাসকষ্ট বা লকডাউনের আর্থিক ক্ষতি নয়! করোনা নিয়ে আরও বড় আশঙ্কা গবেষকদের
যত দিন যাচ্ছে কোভিডের প্রভাব যেন বেশি মাত্রায় প্রকাশিত হচ্ছে৷ এতদিন করোনা হলে শ্বাসকটজনিত সমস্যা এবং করোনাকালীন লকডাউনে মানুষের আর্থিক ক্ষতির কথায় বার বার উঠে এসেছে সংবাদমাধ্যমে৷ এবার করোনা নিয়ে আরও বড় আশঙ্কার কথা শোনালেন গবেষকরা। একটি ওয়েবিনারের করোনা নিয়ে আলোচনার সময় দেশের অন্যতম সেরা পুষ্টিবিদরা জানান করোনার কারণে মানুষ সাধারণ খাদ্য অভ্যাস বদলাতে বাধ্য হচ্ছে আর এতেই বাড়ছে অপুষ্টির আশঙ্কা!
শিশু ও মহিরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত!
'মহিলা এবং শিশুদের জন্য কোভিডকালীন পুষ্টি সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই' শীর্ষক একটি জাতীয় ওয়েবিনারে দেশের অন্যতম প্রখ্যাত পুষ্টিবিদরা যোগ দেন বুধবার৷ ওয়েবিনারেই উঠে আসে মহামারির কারণে দেশের বড় অংশের মহিলা ও শিশুদের দেহে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পৌঁছচ্ছে না। সঠিক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার পাচ্ছেন না এরকম প্রায় ১ কোটি শিশু ও মহিলা এই মুহূর্তে দেশে রয়েছেন৷
কতটা প্রভাব ফেলবে সঠিক পুষ্টি না পাওয়া?
এসএমএস মেডিক্যাল কলেজ জয়পুরের প্রিন্সিপাল সুধীর ভান্ডারী আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ভারত এখন কঠিন 'ফিজিক্যাল চ্যালেঞ্জের' মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ২০২২ এর মধ্যে দেশে মোট ৯.৩ মিলিয়ন শিশু অপুষ্টির শিকার হবে। যার অন্তত ২০-২২ শতাংশের গড় বৃদ্ধি আটকে যাবে কিংবা প্রভাবিত হবে অপুষ্টির দ্বারা৷ এই মহামারির সময় দেশের প্রায় ৫৮ মিলিয়ন ৬ থেকে ২৩ বছর বয়সী শিশুর সঠিক খাবারের অভ্যাস-ই তৈরি হয়নি৷
পুষ্টি কতটা প্রভাব ফেলবে শিশুদের শরীরে?
ভান্ডারী আরও বলেন 'অপুষ্টির কারণেই কোভিডে মৃত্যু ও ইনফ্লেমেশনের মতো ঘটনা বাড়বে শিশুদের মধ্যে৷ পাশাপাশি নানা ধরণের সংক্রমণ ও নিউমোনিয়ার মতো রোগ বাড়বে৷ শিশু ও মায়েদের সঠিক পুষ্টির জন্য মহামারিতেও দেশের খাদ্যসরবরাহ ব্যবস্থাকে সচল ও শক্তিশালী করার উপর জোর দিয়েছেন ভান্ডারী।
ফের নয়া রেকর্ড ভারতের, দেশজোড়া উদ্বেগের মধ্যেই ২০০ দিনের টিকাকরণে ছুঁল নয়া মাইল ফলক
ডেল্টা এফেক্ট!
করোনার ত্রিপল মিউটেন্ট ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট অনেককাংশেই শিশুদেরও সংক্রমিত করার ক্ষমতা রাখে। পাশাপাশি বেশি মারণ ও সংক্রমণ ক্ষমতাধারী এই ভাইরাস স্ট্রেনটির সঙ্গে লড়াই করার জন্যও দেহে সঠিক পুষ্টির প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন পুষ্টিবিদরা। করোনার ডেল্টা স্ট্রেনের সামনে ভ্যাকসিনের দু'টি ডোজও সম্পূর্ণ সুরক্ষিত নয়। সেক্ষেত্রে সঠিক পুষ্টিসম্মত খাবার গ্রহণের মাধ্যমে দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোই একমাত্র উপায় বলেছেন পুষ্টিবিদরাও৷ তৃতীয় ওয়েভ আসার আগেই শিশু ও মেয়েদের খাবারের ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার উপর জোর দিচ্ছেন গবেষকরা।