গর্ভাবস্থায় যৌনাঙ্গে সমস্যা, স্ত্রীকে তালাক স্বামীর
ইতিমধ্যেই তিন তালাক প্রথাকে ফৌজদারি অপরাধ হিসাবে গণ্য করে আইনও পাশ হয়েছে সংসদে। আইন ভঙ্গ করলে তিন বছর পর্যন্ত কারাবাসেরও নিদান দেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যেই তিন তালাক প্রথাকে ফৌজদারি অপরাধ হিসাবে গণ্য করে আইনও পাশ হয়েছে সংসদে। আইন ভঙ্গ করলে তিন বছর পর্যন্ত কারাবাসেরও নিদান দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরেও যে বাস্তব পরিস্থিতির বিশেষ কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না তা সমাজের আনাচে কানাচে একটু ঢুঁ মারলেই বোঝা যায়। গর্ভকালীন অবস্থায় স্ত্রী-র জরায়ুতে সমস্যা দেখা দেওয়ায় এবার স্ত্রীকে তালাক দিলেন গুজরাটের এক ব্যক্তি।
তিন তালাককে বেআইনি ঘোষণা করা হলেও বাস্তবেল কতটা বদলেছে পরিস্থিতি ?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে প্রথম তিন তালাক প্রথাকে অসাংবিধান বলে রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তারপরেই এই প্রথাকে অবৈধ ঘোষণা কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপে পাশ হয় আইনও। যা নিয়ে উত্তাল হয় রাজ্য-রাজনীতি। সমাজর্মীরা এই আইনের মাধ্যমে মুসলিম নারীদের ক্ষমতায়নের রাস্তা আগের থেকে অনেকটাই প্রশস্ত হওয়ার কথা বললেও বিরোধীতা করতে দেখা যায় খোদ মুসলিম সমাজের একটা বড় অংশকে। রাস্তায় নামে একাধিক সংখ্যালঘু সংগঠনও।
কী এই তালাক প্রথা ?
কিন্তু খাতায় কলমে তিন তালাক প্রথাকে বেআইনি ঘোষণা করা হলেও এই কালা নিয়মের নীচে জমে থাকা জমাট বাধা অন্ধকার যে আজও দূর হয়নি তা গুজরাটের ঘটনা থেকেই পরিষ্কার। প্রথা অনুযায়ী, তিন বার তালাক উচ্চারণ করে, মেসেজ পাঠিয়ে মুসলিম স্বামী তাদের স্ত্রীকে তালাক দিতে পারতেন। কিন্তু বর্তমানে সেই অধিকার আর না থাকলেও গুজরাটের খেদা শহরে এমনই এক ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যাচ্ছে।
মুসলিম মহিলা আইনে অভিযোগ দায়ের
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মুসলিম মহিলা (তালাক সম্পর্কিত অধিকার সংরক্ষণ) আইন মোতাবেক গত ৩১ অক্টোবর থানায় এফআইআরও দায়ের করেছেন তার ২৪ বছরের স্ত্রী। এদিকে ২০১৯ সালের মে দুই পরিবারের সম্মতির ভিত্তিতেই ওই মহিলার সাথে বিয়ে হয় সিদ্দিক আলী সায়েদের। সিদ্দিক বর্তমানে একটি বেসরকারী সংস্থায় কর্মরত। এদিকে বিয়ের পর প্রাথমিক অবস্থায় সব ঠিকঠাক কাটলেও সমস্যা শুরু হয় গত জুলই মাসে ওই মহিলা গর্ভবর্তী হয়ে পড়লে।
হাসপাতালেও ভর্তি হন ওই মহিলা
পরিবার সূত্রে খবর, গর্ভকালীন অবস্থাতেই মহিলার শরীরে বেশ কিছু জটিল রোগ বাসা বাঁধে। এমনকী সঠিক স্বাস্থ্য বিধি না মানার ফলে যৌনাঙ্গেও জটিল কিছু সংক্রমণও দেখা যায়। পরবর্তীতে ডাক্তারের কাছে গেলে বেশ কিছু টেস্ট ও বিশ্রামের কথা বললেও গৃহস্থলীর কাজের কারণে নিজের পুরোপুরি খেয়াল রাখতে পারেনি তিনি। এদিকে সেই সময় থেকেই ক্রমেই স্ত্রীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতে শুরু করেন সিদ্দিকি। এদিকে কিছু মাস যেতেই শারীরিক সমস্যা আরও বড় আকারে দেখা দেয় ওই মহিলার শরীরে। ঘনঘন জ্বর, এমনকী রোজ বমি হওয়ায় হাসাপাতালেও ভর্তি করতে হয় তাকে।
অন্যত্র বিয়ের জন্য দেড় লক্ষ টাকা দাবি
এরপর সেখান থেকে ফিরে বাবার বাড়িতে বিশ্রামের জন্য গেলে সেখানেই ২৭ অক্টোবর এসে হাজির হন সিদ্দিকি। এরপর মহিলা ও তার পরিবারের লোকজনের সাথে চূড়ান্ত খারাপ ব্যবহার করতে থাকে। এমনকী অন্য মহিলাকে বিয়ে করার জন্য তার পরিবারের কাছ থেকে দেড় লক্ষ টাকা দাবিও করে সে। অশান্তির আবহেই ক্লান্তি ও অসুস্থতার কারণে কিছু সময় নিজের ঘরে ওই মহিলা ঘুমিয়ে থাকলে সেই সময়ে তার বাবা মা-র সামনে সোচ্চারে তিন বার তালা উচ্চারণ করে ঘরে ছাড়ে সিদ্দিকি।
শুধু কমলা হ্যারিস নন, বাইডেনেরও রয়েছে ভারত যোগ, কীভাবে জানালেন প্রেসিডেন্ট নিজেই