বিগত বছরে দেশে দ্বিগুণ হয়েছে দারিদ্রতার পরিমাণ, করোনা দ্বিতীয় ঢেউয়ে আরও অবনতির আশঙ্কা
বিগত বছরে দেশে দ্বিগুণ হয়েছে দারিদ্রতার পরিমাণ, করোনা দ্বিতীয় ঢেউয়ে আরও অবনতির আশঙ্কা
গত বছরের লকডাউনের জেরে বেহাল হয়ে পড়েছিল ভারতীয় অর্থনীতির অবস্থা। এমনকী জিডিপি প্রবৃদ্ধিও নেমে গিয়েছিল তলানিতে। সঙ্গে দারিদ্রতার পরিমাণ দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছিল। এমতাবস্থায় করোনার নয়া ইনিংসে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির আশঙ্কা করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিকে কেন্দ্র সরাসরি লকডাউনের রাস্তায় এখনই না হাঁটালেও পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে তাতে লকডাউন ছাড়া অচিরেই আর কোনও রাস্তা খোলা থাকবে না বলে মত অনেকের।
চরম দারিদ্রতার সম্মুখীন হবে গোটা দেশ
অন্যদিকে অনেক রাজ্যেই ইতিমধ্যেই জারি হয়েছে সপ্তাহান্তের লকডাউন, চলছে নাইট কার্ফু। যার জেরে দেশের অর্থনীতি পুনরায় বড়সড় ধাক্কা খেতে পারে বলে মত অনেকের। এমনকী তেমনটাই আশঙ্কা অর্থনীতিবিদদেরও। এদিকে গত বছর বিশ্ব ব্যাঙ্কের রিপোর্টে জানানো হয়েছিল, অতিমারী ও টানা গৃহবন্দী দশায় কাজ হারিয়ে পৃথিবীতে কোটি কোটি মানুষ চরম দারিদ্রসীায় পৌঁছবেন।
‘নমুরা’ রিপোর্টেই বাড়ছে আশঙ্কা
'পিউ রিসার্চ সেন্টার'-এর এক রিপোর্ট থেকেও তেমনটাই জানা গিয়েছিল। এমতাবস্থায় একাধিক বিশ্লেষক সংস্থার রিপোর্ট মোতাবেক যেভাবে সংক্রমণের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে তাতে ছোটখাটো ব্যবসা প্রবল ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এমতাবস্থায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় দেশে ফের একবার দারিদ্রতা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে 'নমুরা'র রিপোর্টে।
দৈনিক সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তে বাড়ছে উদ্বেগ
ইতিমধ্যেই
মুম্বই
ও
দিল্লিতে
এর
কুফল
দেখা
যেতেও
শুরু
করেছে।
নতুন
করে
মাথাচাড়া
দিচ্ছে
পরিযায়ী
সঙ্কটও।
আর
তাতেই
বাড়ছে
উদ্বেগ।
এদিকে
করোনার
দ্বিতীয়
ঢেউয়ের
ধাক্কায়
বাড়তে
থাকা
সংক্রমণ
কমার
কোনও
লক্ষণ
দেখা
যাচ্ছে
না,
তাই
সামগ্রিক
ছবিটা
যে
আরও
ভয়ানক
হতে
চলেছে,
সেকথা
ভেবে
আশঙ্কিত
বিশেষজ্ঞরা।
এমনকী
দৈনিক
সংক্রমণ
গত
২৪
ঘণ্টায়
পেরিয়ে
গিয়েছে
৩
লক্ষের
গণ্ডি।
যা
এখনও
পর্যন্ত
সর্বকালীন
রেকর্ড।
কী বলছে রাষ্ট্রপুঞ্জ, অক্সফ্যামের রিপোর্ট ?
এদিকে গত বছর করোমা মহামারি শুরু পর থেকেই দেশে বেকারত্ব, দারিদ্রতা, গ্রামীণ দুর্দশা, মধ্যবিত্তের নিম্ন আয়, অপুষ্টি, আয়-বৈষম্য ইত্যাদি ক্ষেত্রে করুণ অবস্থার কথা দেখতে পায় সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপুঞ্জ, অক্সফ্যামের পাশাপাশি বিশ্ব ব্যাঙ্কের রিপোর্টে জানানো হয়েছিল, দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে গত কয়েক বছরে দারিদ্রসীমার উপরে উঠে আসা অনেকেই ফের ওই সীমার নীচে নেমে যেতে পারেন। এই বছরও তার থেকে বড়সড় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন সকলে।