চিন থেকে ব্যবসা গোটাচ্ছে একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থা, সংঘাতের আবহে কতটা লাভবান হতে পারে ভারত?
চিন থেকে ব্যবসা গোটাচ্ছে একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থা, সংঘাতের আবহে কতটা লাভবান হতে পারে ভারত ?
গত কয়েক মাস ধরে ভারত-চিন ও আমেরিকা-চিন দ্বন্দ্বে সরগরম আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহল। পাশাপাশি করোনা সঙ্কটের জেরে ইতিমধ্যে বিশ্ব বাণিজ্যের পরিসরেও অনেকটা কোণঠাসা বেজিং। পাশাপাশি মার্কিন-চিন বাণিজ্য চুক্তির টানাপোড়েনের জেরে চিন থেকে ব্যবসা গোটাতে চাইছে একাধিক সংস্থা। বর্তমানে চিন থেকে ব্যবসা সরিয়ে যে সমস্ত সংস্থা ভারতে তাদের যাত্রা শুরু করতে চাইছে তাদের জন্য মুক্ত হস্তে একাধিক সুবিধার কথা জানিয়েছে ভারত। ঘোষণা করা হয়েছে একাধিক বিশেষ ইনসেনটিভের।
ভারতকে স্মার্টফোন উৎপাদনের হাব হিসাবে গড়ে তুলতে চাইছে কেন্দ্র
বিশেষজ্ঞদের ধারণা মাহামারীর আবহেই একাধিক বাড়তি সুবিধা পাওয়া ভারতে মূল উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তুলতেই ইতিমধ্যেই আগ্রহ প্রকাশ করেছে একাধিক সংস্থা। ইতিমধ্যেই ভারতকে স্মার্টফোন উৎপাদনের হাব হিসেবে গড়ে তুলতে চাইছে কেন্দ্র। তাতে সাড়া দিয়ে স্যামসাং অ্যাপেলে মতো বিদেশি সংস্থাগুলির সহযোগীদের সঙ্গে ভারতীয় সংস্থারও। মোট ২২টি এমন সংস্থা আবেদন করেছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় টেলিও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ।
এসেছে ১৫০ কোটি ডলারের বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি
এদিকে মোবাইল উৎপাদনকারী সংস্থা ছাড়াও একাধিক বৈদ্যুতিন পণ্য প্রস্তুকারী সংস্থা গুলির জন্যও বড়সড় ইনসেনটিভের ঘোষণা করে নরেন্দ্র মোদী সরকার। যার জেরে এখনও পর্যন্ত প্রায় দু-ডজন সংস্থা দেশে মোবাইল ফোন ও বৈদ্যুপতিন পণ্যের কারখানা স্থাপনের জন্য ১৫০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে চিনের কমিউনিস্ট সরকারের সংঘাত
এদিকে গত কয়েকমাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে চিনের কমিউনিস্ট শাসকদের বাণিজ্যিক এবং কূটনৈতিক সংঘাত ক্রমশ বাড়ছে। ফলে বহু মার্কিন সংস্থা তাদের উৎপাদন কেন্দ্র চিন থেকে সরিয়ে নেওয়ার কথা চিন্তাভাবনা করছে। এই সুযোগও কাজে লাগাতে চায় ভারত সরকার। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই প্রায় ১০০ তার বেশি আমেরিকার সংস্থা চিন থেকে ব্যবসা গুটিয়ে ভারতের মাটিতে তাদের ঘাঁটি তৈরি করতে চাইছে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তারা আগ্রহও প্রকাশ করেছে ইতিমধ্যেই।
মোবাইল ছড়াও কোন কোন পণ্যে জোর দিতে চাইছে ভারত ?
এই তালিকায় স্যামসং ছাড়াও ভারতে ব্যবসার ক্ষেত্রে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ফক্সকন, উইস্ট্রন কর্পস এবং পেগাট্রন কর্পসও। ইলেক্ট্রো পণ্যের পাশাপাশি ভারতও ওষুধ শিল্পেও নতুন বিনিয়োগ টানার চেষ্টা করছে ভারত। একইসাথে অটোমোবাইল শিল্পে স্থাপনের ক্ষেত্রেও বিদেশি সংস্থা গুলির জন্য একাধিক ছাড়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও আরও অন্যান্য শিল্পের পাশাপাশি টেক্সটাইল এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের উপরেও জোর দিতে চাইছে ভারত সরকার।
ভারত ছাড়াও লাভবান হতে পারে কোন কোন দেশ ?
যদিও এই ক্ষেত্রে অন্য একটি সম্ভাবনাও উুঁকি দিচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে মার্কিন-চিন বাণিজ্য চুক্তির টানাপোড়েনের জেরে চিন থেকে একাধিক সংস্থা ব্যাবসা গোটালেও তাদের সস্তায় ফের গোরাপত্তনের ক্ষেত্রে তারা প্রথমেই পাখির চোখ করতে পারে ভিয়েতনামকে। এই বিষয়ে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড পিএলসি সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ভিয়েতনামের পরেই ওই সমস্ত সংস্থাগুলির সবচেয়ে বেশি পছন্দের গন্তব্য হতে পারে কম্বোডিয়া, মায়ানমার, বাংলাদেশ এবং থাইল্যান্ডও।
ভারত-নেপাল হাইভোল্টেজ বৈঠকে প্রথম বলেই ওভারবাউন্ডারি দিল্লির!রুদ্ধদ্বার মিটিং-এ কী ঘটল