পর্নোগ্রাফি নিষিদ্ধ হওয়ায় বাড়বাড়ন্ত নীলছবির ডিভিডি বিক্রেতাদের, আকাশছোঁয়া দামেও ঠিক যেন হরিলুঠ
নয়াদিল্লি, ৫ আগস্ট : ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারগুলি ৮০০টির বেশি পর্ন সাইট ব্লক করার জেরে আপাতত সুখের স্বাদ নিচ্ছেন নীল ছবির ডিভিডি বিক্রেতারা। তাদের এখন বাড়বাড়ন্ত। কারণ সাইট ব্লক হওয়ায় পর্নোগ্রাফি প্রেমিকদের ভরসা এখন সস্তা নীলছবির ডিভিডিতে এসে ঠেকেছে। ফলে এক রাতের মধ্যে চাহিদা হুড়মুড়িয়ে ঊর্ধ্বমুখী। চাহিদা বাড়ায় এই ধরণের নীল ডিভিডিগুলির দামও আকাশছোঁয়া।
(ছবি) নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও ভারতে বসে আপনি কীভাবে দেখবেন পর্নোগ্রাফি!
দেশের বিভিন্ন জায়গাতেই এই চিত্র ধরা পড়ছে। প্রাপ্তবয়স্ক বিষয়বস্তু দেখা বা ডাউনলোডের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি হতেই নয়াদিল্লির পালিকা বাজার লাজপত নগর, পাহারগঞ্জের মত এলাকায় যেখানে এই ডিভিডি ব্যবসা জনপ্রিয় ভিড় জমতে শুরু করেছে আগের থেকে দ্বিগুন-তিনগুন হারে। গত সপ্তাহেও যে ডিভিডি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল এখন তা বিকোচ্ছে ৩০০ টাকায়।
পিছিয়ে নেই কলকাতাও। এই ধরণে নীল সিডি-ডিভিডির দাম বেড়েছে প্রায় ২০-৩০ শতাংশ। পার্ক সার্কাসের এক ডিভিডি বিক্রেতার কথায়, যে সিডি আগে ২০ টাকায় বিক্রি হত তার দাম ২৫ বা ৩০ টাকা চাইলেও ক্রেতারা কোনওরকম তর্কাতর্কি করছেন না।
তবে এখন সবচেয়ে বেশি চাহিদা এমএমএস ক্লিপের। এখন প্রায় ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এক একটা, যা সোমবারের দামের থেকে দ্বিগুন। আবার গড়িয়াহাট, রাসবিহারী অ্যাভিনিউয়ের মতো 'প্রাইম লোকেশন'-এ ৪০ টাকার ইংরাজি পর্নো ডিভিডি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়।
পর্নোগ্রাফি নিষিদ্ধ করায় রেগে লাল , সরকারকে নির্বোধ বললেন সোনম কাপুর
লখনউতে পর্নোপ্রেমিকদের একাংশের আক্ষেপ, পাইরেটেড সিডি বা ডিভিডি দ্বিগুন দামে বিক্রি হচ্ছে। ফলে পকেট খসছে ভালভাবেই, তবে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে এই যা শান্তণা। এই ব্যবসার এখ রাঘব বোয়াল (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানিয়েছেন. বসতি, ফইজাবাদ, বাকাবাঁকি, রায়বরেলি, সীতাপুরের মতো জেলা থেকে ক্রেতার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
বেঙ্গালুরুর মতো টেকস্যাভি শহরে সিডি/ডিভিডি-র থেকে ভিপিএন (ভারচুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক)-এর চাহিদা বেড়েছে। কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারের কেন্দ্র অ্যাভেনিউ মার্কেটের বিক্রেতাদের কথায়, ভিপিএন নিয়ে বহু লোক জিজ্ঞাসা করতে আসছে। কিনছেও, কিন্তু অনেকে জানেই না তা কীভাবে ব্যববহার করতে হয়।
ভারতে নিষিদ্ধ হল পর্নোগ্রাফি? এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা রামগোপাল বর্মা-সহ অন্যান্য তারকাদের
দিল্লির এক ডিভিডি ব্যবসায়ীর কথায়, সরকারি নিষেধাজ্ঞার জেরে ক্রেতাদের পছন্দের সিডি বেছে নেওয়ার অধিকারও কিছুটা হলেও হারিয়েছে। কারণ, কোনও সিডি বা ডিভিডিতেই অশ্লীল ছবির খাপ নেই। সব সিডিই এক দেখতে, কোনও খাপ নেই, কোনও নাম নেই, ছবি তো নেই-ই।
ওই ব্যবসায়ীর কথায়, ক্রেতাদের আমরা গুচ্ছ ধরে সিডি/ডিভিডি বের করে দিচ্ছি। যেটা খুশী ক্রেতা তুলে নিতে পারেন। কিন্তু যে সিডিটি নিচ্ছেন ক্রেতা তা পরীক্ষাবশত চালিয়ে দেখিয়ে দেওয়া হচ্ছে না। যদি সিডি বা ডিভিডি কাজ না করে তার জন্য পরের দিন পর্যন্ত সময় দেওয়া হচ্ছে, ফেরত দেওয়ার জন্য।
যদিও চেন্নাই বা মুম্বইয়ে পর্নো সিডি/ডিভিডির দাম বাড়ার কোনও খবর মেলেনি।