বায়ু দূষণ চরমে, বিশ্বের দ্বিতীয় দূষিত শহরে পরিণত হল রাজধানী
বায়ু দূষণ চরমে, বিশ্বের দ্বিতীয় দূষিত শহরে পরিণত হল রাজধানী
দীপাবলীর পর থেকে কালো ধোঁয়ায় ঢেকেছে দিল্লির আকাশ। ধোঁয়াশায় দূষণে জেরবার রাজধানী দিল্লি। তার জেরে দিল্লির দ্বিতীয় দূষিত শহরে পরিণত হয়েছে রাজধানী দিল্লি। প্রথমে রয়েছে পাকিস্তানে লাহোর। তারপরেই দিল্লির অবস্থান। প্রতিবছর শীতেই রাজধানী দিল্লির বায়ু দূষণ চরমে পৌঁছয়।
দূষণের হিসেবে দিল্লির আনন্দ বিহার এলাকা রয়েছে শীর্ষে। অর্থাৎ দিল্লির আনন্দ বিহার এলাকায় দূষণ চরমে পৌঁছে গিয়েছে। দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রতিবছরই একাধিক পদক্ষেপ করা হয় দিল্লি সরকারের পক্ষ থেকে। দীপাবলিতে বাজি পোড়ানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। দীপাবলী কাটতে না কাটতেই দিল্লির আকাশ ধোঁয়ায় ঢেকেছে। এর অন্যতম কারণ বলা হয়ে থাকে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদশে শুকনো ফসল পোড়ানো। এই নিয়ে প্রতিবছরই এই তিন রাজ্য সরকারের সঙ্গে দিল্লি সরকারের বিবাদ চরমে ওঠে।
২৪ অক্টোবর থেকে রাজধানী দিল্লির বায়ু দূষণ বাড়তে শুরু করেছে। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে ৩৭০-এ পৌঁছে গিয়েছে রাজধানী দিল্লি। শুধু রাজধানী দিল্লিই কেন দীপাবলির পর এতটা দূষিত হয়। পাহাড়ের মাঝে অবস্থার দিল্লির যার কারণে বায়ু চলাচল খুব একটা স্বাভাবিক হয় না। বাজি পোড়ানোর পর দূষণে বাতাস ভারী হয়ে যায়। তার সঙ্গে শিল্পাঞ্চলের দূষণ, নির্মাণ শিল্পের দূষণ সব মিলে মিশে এক হয়ে যায়। ভারী হয়ে যায় বাতাস। তারপরেই সেই দূষিচত বায়ু আর বেরোতে পারে না। তার জন্য আরও দূষণ বাড়তে থাকে।
যদিও দিল্লি সরকারের অভিযোগ দূষণের অন্যতম কারণ হল পাশের রাজ্যগুলিতে ফসল পোড়ানো। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ মূলত কৃষি প্রধান রাজ্য এই রাজ্যগুলিতে শুকনো ফসল মাঠেই পুড়িয়ে দেন চাষীরা। তার ধোঁয়া গিয়ে মেশে দিল্লির বাতাসে। তার জেরে গোটা এলাকা ধোঁয়ায় ভরে যায়। দূষণে ভারী হয়ে ওঠে দিল্লির আকাশ। তার উপরে দিল্লি রাজধানী হওয়ায় সেখানকার জনসংখ্যা বেশি। বলা চলে দিল্লির জনঘনত্ব বেশি। একাধিক শিল্প রয়েছে সেখানে। প্রতিনিয়ত দূষণ ছড়াচ্ছে সেগুলি।
বিজেপি টিআরএস মুদ্রার দুই পিঠ, ভারত জোড়ো যাত্রায় যোগ দিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার আজহারউদ্দিন