করোনা ভাইরাসের জেরে লকডাউন, ফ্লিপকার্টে আপাতত স্থগিত হোম ডেলিভারি পরিষেবা
মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে গোটা দেশেই সম্পূর্ণভাবে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এরই মধ্যে এই প্রথমবার ফ্লিপকার্টের মতো ই–কমার্স ওয়েবসাইট জানিয়ে দিল যে তারাও ২১ দিনের জন্য তাদের পরিষেবা বন্ধ রাখতে চলেছে। যদিও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে ই–কমার্সগুলিকেও জরুরি পরিষেবার তালিকার মধ্যে রাখা হয়েছে, তাই ফ্লিপকার্টের এই আকস্মিক সিদ্ধান্ত অনেককেই অবাক করেছে।

বন্ধ ফ্লিপকার্ট পরিষেবা
জানা গিয়েছে যে হোম ডেলিভারি পরিষেবার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত রয়েছেন তাঁরা অভিযোগ করেছেন যে পুলিশ ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তাঁদের ডেলিভারি দিতে যাওয়ার সময় হেনস্থা করেছেন। ফ্লিপকার্টে তাই নোটিস দিয়ে বলা হয়েছে, ‘হ্যালো স্বদেশবাসী, আমরা অস্থায়ীভাবে আমাদের পরিষেবা বন্ধ রাখছি। আপনাদের চাহিদা সবসময়ই আমাদের অগ্রাধিকার ও আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি আপনাদের পরিষেবা দেওয়ার জন্য যতটা সম্ভব খুব শীঘ্রই ফিরে আসব। এখন খুব কঠিন সময়, অন্য সময়ের মতো নয়। এর আগে কখনও হয়নি, সম্প্রদায়গুলি সুরক্ষিত থাকতে আলাদা থাকছে। এর আগে এটাও হয়নি যে বাড়িতে থেকে দেশকে সহায়তা করুন। আমরা আপনাদের কাছে আবেদন করছি যে বাড়িতে থাকুন, নিরাপদে থাকুন। আমরা ঠিক লক্ষ্যে পৌঁছাব, একসঙ্গে এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে।'

অ্যামাজনে প্রয়োজনীয় জিনিসের অর্ডার দেওয়া যাবে
ই-খুচরোর শীর্ষে থাকা অ্যামাজন তারা তাদের পরিষেবা দেওয়ার কৌশলটিকে একটু অন্যভাবে খেলিয়েছে। গোটা পরিষেবা বন্ধ না করে বরং অ্যামাজন পণ্যের চাহিদার ওপর অগ্রাধিকার দিয়েছে। এই নতুন পদ্ধতিটি ইতিমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রয়োগ করা হয়েছে। এখন যদি কোনও ভারতীয় অ্যামাজনে কিছু অর্ডার করতে যান তবে সংস্থার পক্ষ থেকে পণ্যের অগ্রাধিকার সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়া হবে গ্রাহককে। অ্যামাজন তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, ‘আমাদের সহযোগীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে শুধুমাত্র অত্যন্ত জরুরি জিনিসগুলি সরবরাহ করা হবে। অন্য পণ্যগুলি কেনার জন্য এই মুহূর্তে অনউপলব্ধ।' অন্য প্রধান সংস্থা যেমন সুপার, মিল্ক বাস্কেট ও বিগ বাস্কেটও এই সময় তাদের হোম ডেলিভারি পরিষেবা বন্ধ রেখেছে।

গোটা দেশে লকডাউন
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার ২০০৫ সালের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের আওতায় গোটা দেশে সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করে। যাতে মহামারি এই করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করা যায়। মুখ্য সচিব নিপেন্দ্র মিশ্র ও ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা রাজ্যগুলির মুখ্য সচিব ও ডিজিপিদের সঙ্গে কথা বলে লকডাউনের বিষয়টি পর্যবেক্ষণের জন্য বলেছে। লকডাউনের সময় হাসপাতাল, ল্যাব, অ্যাম্বুলেন্স, রেশন দোকান, ফল-সবজির বাজার, ব্যাঙ্ক, এটিএম, সংবাদমাধ্যম, ইন্টারনেট ও কেবল পরিষেবা, ই-কমার্স, পেট্রোল পাম্প, এলপিজি আউটলেট, ওয়্যারহাউস পরিষেবা চালু রাখা হবে।
প্রশান্ত মহাসাগরে ভূমিকম্প, করোনা মহামারীর মাঝেই সুনামির চোখ রাঙানি আমেরিকার উপর