সমুদ্রে প্রবল জোয়ারের সতর্কতা, বাসিন্দাদের বাইরে বেরোতে নিষেধ করল বিএমসি
এর আগে কখনও এমন চরম পরিস্থিতির শিকার হয়নি মুম্বই। একদিকে নাগাড়ে বর্ষণ আর অন্যদিকে সমুদ্রে জোয়াড় আর জলোচ্ছ্বাস এই দুইয়ের সাঁড়াশি আক্রমণে বিদ্ধ বাণিজ্যনগরী।
এর আগে কখনও এমন চরম পরিস্থিতির শিকার হয়নি মুম্বই। একদিকে নাগাড়ে বর্ষণ আর অন্যদিকে সমুদ্রে জোয়ার আর জলোচ্ছ্বাস এই দুইয়ের সাঁড়াশি আক্রমণে বিদ্ধ বাণিজ্যনগরী। জলবন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন শহরের একাধিক বহুতলের অসংখ্য বাসিন্দা। এরই মধ্যে আগামী ৪৮ ঘণ্টা প্রবল বর্ষণের সতর্কতায় যেন প্রমাদ গুণছে বাণিজ্য নগরে। আজ সকালে আবার সমুদ্রে জোড়াল জোয়ারের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
রবিবার বিকেলে সাড়ে চার ফুট উচ্চতায় সমুদ্রে জোয়ার আসতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। গতকালই বাসিন্দাদের সমুদ্রের পাড়ে যেতে নিষেধ করেছিল বিএমসি। আজ আবার বৃষ্টিতে সকলকে বাড়ির বাইরে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে। যদিও আজ রবিবার ছুটির দিন হওয়ায় কর্মস্থলে যাওয়ার তাড়া বড়বেিশ নেই অনেকেরই। স্কুল, কলেজ গুলিতেই সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
খুব বেশি প্রয়োজন না হলে কেউ যেন বাড়ির বাইরে না বেরোন এমনই সতর্কতা জারি করেছেন বিএমসি। এদিকে শহরের পরিবহণ ব্যবস্থাও একেবারে স্তব্ধ হয়ে যাওয়ার পথে। রাস্তায় বাস, অটোরিকশার খুব একটা দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। ট্রেন চলাচলও ব্যহত হচ্ছে একাধিক জায়গায়। বহু দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করা হয়েেছ। আর েয ট্রেনগুলি চলছে সেগুলি অত্যন্ত দেরিতে চলছে। বিমান পরিষেবাও ব্যহত হচ্ছে সকাল থেকে। ২৪ ঘণ্টা জেগে থাকা শহর যেন ঘুমিয়ে পড়েছে একদিনেই। এমনই সংকটজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মুম্বইয়ে।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ জানিয়েছেন, সরকার বিএমসির সঙ্গে একযোগে কাজ করছে। আটটি পাম্পিং স্টেশন এই মুহূর্তে কাজ করছে।