করোনায় বন্ধ ভক্ত সমাগম, জগন্নাথের বিশাল রথ এবার টানবে হাতি, সিদ্ধান্ত জেলা প্রশাসনের
করোনায় বন্ধ ভক্ত সমাগম, জগন্নাথের বিশাল রথ এবার টানবে হাতি, সিদ্ধান্ত জেলা প্রশাসনের
করোনা ভাইরাস থাবা বসিয়েছে গোটা েদশে। প্রভাব পড়েছে উৎসব অনুষ্ঠানেও। করোনা ভাইরাসের কারণে এবার পুরীর রথযাত্রীয় ব্রাত্য পূন্যার্থীরা। তাই এবার পুরীর জগন্নাথের সুবিশাল রথ এবার টানবে হাতিতে। এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। কারণ সীমিত সংখ্যক মানুষের পক্ষে সেই বিশাল রথ টেনে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।
হাতিতে টানবে রথ
ভক্তরা নয় এবংর পুরীর রথ টানবে হাতিতে। এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। করোনা সংক্রমণের কারণে এবার পুরীর রথ যাত্রায় পূন্যার্থীদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। আগে থেকেই পুরীতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এমনকী পুরীর বািসন্দারাও সামিল হতে পারবেন না রথ যাত্রায়। তাই এই বিপুল ভারী রথ টেনে নিয়ে যাবে হাতি। এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
বিপুল ওজন রথের
১৩০০০ কিউবিক কাঠ দিয়ে তৈরি হয়েছে পুরীর জগন্নাথ, বলভদ্র এবং সুভদ্রার রথ। তার উপরে পরে কাপড়ের আস্তরণ। এছাড়া মূর্তির ভার তো রয়েইছে। প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ ভক্ত সমাগমে সেই রথ অনায়াসেই পুরীর মন্দির থেকে গুণ্ডিচা মন্দিরে আবার গুণ্ডিচা মন্দির থেকে পুরীর মন্দিরে ফিরে আসে। কিন্তু এবার আর সেটা সম্ভব হচ্ছে না। তাই এই বিশাল ভারী রথের রশি এবার টানবে হাতি অথবা ক্রেন।
ভক্তদের প্রবেশ নিষিদ্ধ
করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় আগেই বাতিল করে দেওয়া হয়েছে পুরীর রথ যাত্রায় ভক্ত সমাগম। ১৪৪ ধারা জাির করা হয়েছে পুরীতে। এমনকী পুরী স্টেশনে কোনও ট্রেনও থামবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। রথযাত্রার দিন পুরী শহরে এক প্রকার কার্ফু জারির অবস্থা হবে। কেবল মাত্র মন্দিরের কয়েকজন সেবায়েত ছাড়া আর কেউ থাকবেন না সেখানে।
একাকী স্নানযাত্রা
বিধি মেনে জগন্নাথের স্নান যাত্রা হলেও। এবার আর কোনও ভক্ত তাঁর দর্শন করতে পারেননি। গুটি কয়েক পুজারী এবং সেবায়েত মিলে সম্পন্ন করেছেন স্নানযাত্রী। তবে পুরীর রথ যাত্রা যাতে সকলে দেখতে পারেন সেকারণে রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর নিজস্ব উদ্যোগে রথ যাত্রা সম্প্রচার করবে।
বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ফল নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী অনুব্রতর! দলের নেতাদের দিলেন হুঁশিয়ারি