করোনা লকডাউনের জের, পরিশুদ্ধ বাতাসে শ্বাস নিচ্ছেন দেশবাসী, ৪০ বছরে বাতাসে CO2-র রেকর্ড পতন
করোনা লকডাউনের জের, পরিশুদ্ধ বাতাসে শ্বাস নিচ্ছেন দেশবাসী, ৪০ বছরে বাতাসে CO2-র রেকর্ড পতন
করোনা লকডাউনে স্তব্ধ চারিদিক। কলকারখানা বন্ধ, চলছে না কোনও যানবাহনও। দীর্ঘ দিনের এই পরিস্থিতে পরিশুদ্ধ হয়ে উঠেছে বাতাস। দূষণ মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে আর বেড়াতে যেতে হবে না। বাড়িতেই তা পেয়ে যাচ্ছেন দেশবাসী। কারণ বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইড (CO2)-পরিমাণ রেকর্ড ভাবে কমে গিয়েেছ। গত ৪০ বছরে যা ঘটেনি। ২ মাসের লকডাউন তা করে দেখিয়েছে।
কমেছে কার্বন ডাই অক্সাইড
দূষণ মুক্ত পরিশুদ্ধ বাতাসে এখন শ্বাস নিচ্ছেন দেশবাসী। বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমান রেকর্ড হারে কমে গিয়েছে। গত ৪০ বছরে যা ঘটেনি করোনা লকডাউন তা ২ মাসে করে দেখিয়েছে। মার্চ মাস থেকে দেশে কার্যকর হয়েছে লকডাউন। তাতেই এক ধাক্কায় ১৫ শতাংশ কার্বন ডাই অক্সাইড কমেছে বাতাসে। এপ্রিল মাসে সেটা প্রায় ৩০ শতাংশ কমেছে।
কলকারখানা বন্ধ
কার্বন ডাই অক্সাইড নির্মমণের যেগুলি মূল উৎস কয়লা, তেল এবং গ্যাস। কলকারখানা বন্ধ হওয়ার কারণে সেই সব জ্বালানির ব্যবহার অনেকটাই কমেছে। করোনা লকডাউনের কারণে দেশের প্রায় সব কলকারখানাই বন্ধ রয়েছে। সেকটি খোলা রয়েছে তাতে সেই পরিমান কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন হয় না। তাতেই সুফল মিলেছে।
শক্তি উৎপাদনে ঘাটতি
করোনা লকডাউনের কারণে দেশের একাধিক শক্তি উৎপাদন কেন্দ্রে শক্তি উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন কমেছে ১৫ শতাংশ। এপ্রিলে সেটা কমে হয়েছে ৩১ শতাংশ। তবে পুনর্নবীকরণ শক্তির উৎপাদন বেড়েেছ দেশে। করোনা আবহেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। একদিকে যখন পরিশুদ্ধ হচ্ছে বাতাস। অন্যদিকে শক্তি উৎপাদনের ঘাটতে অশনি সংকেত নিয়ে এসেছে ভারতে।
দূষণ মুক্ত দিল্লি
গত কয়েক বছরে যা সম্ভভ করে উঠতে পারেনি কোনও সরকার। সেটা সম্ভব করেছে করোনা লকডাউন। দূষণ কমে যাওয়ায় রাজধানী দিল্লির বাতাস দূষণ মুক্ত হয়েছে এক মাসেই। এখন আর বায়ু দূষণের মধ্যেই শ্বাস নিতে হচ্ছে না লকডাউনে থাকা দিল্লিবাসীকে।
উস্কানিমূলক পোস্টে আরও কড়া ফেসবুক, চলতি বছরেই সরানো হল ৪৭ লক্ষ উষ্কানিমূলক পোস্ট