বৈষ্ণোদেবীর দর্শনে যেতে পারছেন না? এবার বাড়িতে বসেই মিলবে দর্শন, জানুন কীভাবে
করোনা ভাইরাসের প্রকোপের ফলে জন সমাগমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্র সরকার। ধর্মীয় স্থানগুলি খুলে গেলেও সেখানে দর্শনার্থীদের প্রবেশ খুবই সীমিত করে দেওয়া হয়েছে। সরকারিভাবে জানা গিয়েছে যে জম্মু–কাশ্মীরের রিয়াসি জেলার ত্রিকূট পাহাড়ের ওপর অবস্থিত হিন্দুদের জনপ্রিয় তীর্থস্থান মাতা বৈষ্ণোদেবী মন্দিরের ভক্তরা এবার গুহার মধ্যে থাকা মাতাদেবীকে খুব শীঘ্রই লাইভে দেখতে পারবেন এবং তা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে। এই অ্যাপটি আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর চালু হবে, ওইদিনই নবরাত্রির প্রথম দিন বলে জানা গিয়েছে, যজ্ঞ করার লাইভও দেখানো হবে ওই অ্যাপে।

মোবাইল অ্যাপে দর্শন
মন্দির বোর্ডের এক শীর্ষকর্তা বলেন, ‘করোনা ভাইরাস প্রকোপের কারণে ধর্মীয় জায়গায় বিশাল জন সমাগমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে, তাই বোর্ড নতুন নিয়ম হিসাবে জারি করেছে যে সব ভক্ত ১২ কিমি পাহাড়ি রাস্তা ট্রেক করে গুহাতে আসতে পারবেন না তাঁরাও বাড়িতে বসে বৈষ্ণোদেবীর দর্শন ও আশীর্বাদ পেতে পারবেন।'

পুজোর প্রসাদের হোম ডেলিভারি
তিনি এও জানান যে লেফটেন্যান্ট গর্ভনর মনোজ সিনহা সোমবার মাতা বৈষ্ণোদেবীর পুজোর প্রসাদ বাড়িতে ডেলিভারির ধারাবাহিকতা বজায় থাকব। যদিও ভক্তরা তাঁদের পুজোর প্রসাদ বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে বুক করতে পারেন এবং ডাক বিভাগের সঙ্গে চুক্তির পর ওই প্রসাদ স্পিড পোস্টের মাধ্যমে গোটা দেশের সব জায়গায় চলে যায়। লেফটেন্যান্ট গর্ভনরের নির্দেশেই প্রসাদ পৌঁছানোর বিষয়টিতে প্রযুক্তিকে যোগ করা হয়েছে। বোর্ডের চিফ এক্সকিউটিভ অফিসার রমেশ কুমার বলেন, ‘সম্প্রতি বিভিন্ন ধর্মীয় টিভি চ্যানেলে আরতির লাইভ সম্প্রচার হয়।'

অ্যানড্রয়েড ও আইওএস ফোনে মিলবে এই অ্যাপ
রমেশ কুমার বলেন, ‘মোবাইলের অ্যাপ চালু হলে গোটা বিশ্বের মানুষই এই অ্যাপের মাধ্যমে পুজো করার ও বৈষ্ণোদেবীকে দর্শন করার সুযোগ পাবেন এবং আর্শীবাদও নিতে পারবেন। মোবাইল অ্যাপের নমনীয়তার ফলে ভক্তরা অন্য জায়গায় গেলেও অমৃত ভেলা সবসময়ই দেখতে পারবেন।' তিনি এও জানিয়েছেন যে লাইভ দর্শন ও যজ্ঞ উভয়ই দেখা যাবে অ্যানড্রয়েড ও আইওএস সিস্টেমের ফোনে।

তীর্থযাত্রী কমেছে এ বছর
প্রসঙ্গত, ১৯৮৬ সালে মন্দির বোর্ড গঠন হওয়ার পর বৈষ্ণোদেবীতে প্রত্যেক বছরই পুণার্থীদের সংখ্যা বেড়েছে বই কমেনি। এই পবিত্র মন্দিরে আসার জন্য মানুষ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন কোণ থেকে ছুটে আসে। তবে এই বছর কোভিড-১৯ মহামারির কারণে উল্লেখযোগ্যভাবে ভক্ত সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। গত ১৬ অগাস্ট থেকে পুনরায় বৈষ্ণোদেবী যাত্রা শুরু হয় এবং নিরাপত্তার খাতিরে প্রতিদিন পাঁচহাজার করে তীর্থযাত্রী এই মন্দিরে যেতেন। মন্দির বোর্ডের কর্মীদের পিপিই কিট দেওয়া হয়েছে এবং সংক্রমণের পরীক্ষার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বিহারে আরজেডি-কংগ্রেসের মহাজোটে সামিল বামেরাও, অনিশ্চিত আরএলএসপি-ভিআইপি