লাদাখ সীমান্ত নিয়ে চিনের '১৯৫৯' দাবি, মিথ্যাচারের মুখোশ খসে পড়ল বেজিংয়ের
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার এপারে লাদাখের বেশ কিছু এলাকা নিজেদের এলাকা বলে দাবি করেছে চিন। এবার চিনের এই দাবি সমূলে নস্যাৎ করে দিল ভারত। দিল্লির থেকে বলা হয়, চিন ১৯৫৯ সাল থেকে যে দাবি করে এসেছে, তা পুরোপুরি একতরফা। এদিকে চিনের এই দাবি থেকে তাদেরই অপর একটি দাবি খারিজ করল স্বয়ং বেজিং।
১৯৫৯ সালের নিরিখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে চিনের দাবি
১৯৫৯ সালের নিরিখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে চিনের এই নয়া দাবির জেরে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে গেল যে তাদের পক্ষ থেকে পরিষ্কার ভাবে আগ্রাসী মনোভাব দেখানো হয়েছিল। এবং তাদের উস্কানিতেই লাদাখে সীমান্তে উত্তেজনা বেড়েছে এবং জবাবী কার্যক্রম করতে বাধ্য হয়েছে ভারতীয় সেনা।
উত্তেজনার দোষ ভারতের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা
যদিও সীমান্তে চলতে থাকা উত্তেজনার দোষ ভারতের ঘাড়ে চাপানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে এসেছে চিন। তবে তাদের এই নয়া দাবিতে তারা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে একতরফা ভাবে সীমান্তের অবস্থান বদলানোর চেষ্টা করা হয়েছিল চিনের তরফেই। এবং ভারত নিজেদের জমি না ছাড়াতে চাওয়াতেই সংঘাত বাঁধে এবং উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়।
কয়েক দশক পরও ভারত-চিন সম্পর্কে চিড়
প্রসঙ্গত, সাত দশক পরও ভারত-চিন সম্পর্কে লাদাখ সীমান্ত নিয়ে অস্বস্তি চলছে। সম্প্রতি ফের সীমান্ত সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতেই চিন ধারণ করেছে রণংদেহী মূর্তি। ভারত শান্তির বার্তা দিলেও বেজিং তাতে কর্ণপাত করছে না। লাদাখ সীমান্ত নিয়ে সমস্যার সূত্রপাত ১৯৫৯ সালে। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকে একটি চিঠি লিখে এলএসি নিয়ে তাঁদের ঐতিহ্য অনুযায়ী সীমান্তের কথা বলেন চিনা প্রধানমন্ত্রী ঝু এনলাই। যদিও ভারত তা অস্বীকার করে। তবে বর্তমানে সেই সীমাকেই এলএসি বলে দাবি করতে শুরু করেছে চিন। তবে ভারত এই বদল মানতে নারাজ।
সমঝোতা বিরুদ্ধ পদক্ষেপ চিনের
বিদেশমন্ত্রক এই বিষয়ে জানিয়েছে, উভয় দেশ 'একটি সাধারণ সমঝোতায় পৌঁছানোর জন্য প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার স্পষ্টতা এবং নিশ্চয়তার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।' কিন্তু চিন একতরফাভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে যে দাবি করছে তা দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার বিরোধী এবং পুরোপুরি ভিত্তিহীন। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার বিষয়ে ভারতের অবস্থান বরাবর একই আছে এবং চিন তা ভালোভাবেই জানে।
চিনের ভিত্তিহীন দাবি
প্রসঙ্গত, চিনের কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র গ্লোবাল টাইমস-এ সেদেশে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েবিন দাবি করেছেন, 'নিয়ম বহির্ভূতভাবে লাদাখকে নিজেদের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বলে ঘোষণা করেছে ভারত। চিন এটা মানে না।' চিনের বিদেশমন্ত্রকের তরফে এই দাবিরই পালটা জবাব দেয় দিল্লি।
চিনা ড্রাগনের চোখ রাঙানির পাল্টা জাবাব, লাদাখ সীমান্তে রাস্তা-ব্রিজের নেটওয়ার্ক গড়ছে দিল্লি