নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বনধ বিহারে, বিপর্যস্ত রেল পরিষেবা
নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বনধ বিহারে, বিপর্যস্ত রেল পরিষেবা
নাগরিকত্ব আইন বিরোধী প্রতিবাদ ক্রমেই সর্বাত্মক চেহারা নিচ্ছে দেশ জুড়ে। ইতিমধ্যেই বৃহস্পতিবার বিহারের একাধিক বামপন্থী সংগঠন ও জন অধিকার পার্টির (জাপা) তরফে বনধ ডাকা হয় গোটা বিহার জুড়ে। তারপরই শুক্রবার ভোর থেকেই রাজ্য জুড়ে অচল হয়ে পড়ে রেল পরিষেবা।
সিএএ এবং এনআরসি'র বিরোধিতায় পূর্ব মধ্য রেলওয়ের দানাপুর বিভাগের অধীনে পাটনা কিউল বিভাগের লক্ষীসরাইয়ে একাধিক বাম দলের সমর্থকরা এদিন সকালে একটি ট্রেন থামিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বলে শোনা যায়। পাশাপাশি বনধের সমর্থনে একাধিক রাজনৈতিক দলের কর্মী সমর্থকেরা রাস্তায় নামলে বিভিন্ন স্টেশনে আটকে পড়ে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন। রেল সূত্রে খবর, লাহেরিয়সরাই স্টেশনে আধ ঘণ্টার জন্য আটকে পড়ে হাজিপুর হয়ে দারভাঙ্গা ও নয়াদিল্লির মধ্যে চলা বিহার সম্পর্ক ক্রান্তি এক্সপ্রেস।
আরপিএফ এবং জিআরপিকে গোটা পরিস্থিতি সম্পর্কে সর্বদা সজাগ থাকতে সরকারি ভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আরপিএফের আইজি রবীন্দ্র ভার্মা এই প্রসঙ্গে বলেন, “ বনধ সমর্থনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে একাধিক জায়গায় মাঠে নেমেছে আরপিএফের পুলিশ কর্মীরা। বৃহস্পতিবার রাজেন্দ্রনগরে মুকেশ সাহানির নেতৃত্বে ভিআইপি-র সমর্থকেরা ট্রেন আটকে বিক্ষোভ দেখাতে এলে পুলিশ তাদের আটক করে।”
Darbhanga: CPI-M workers block railway track at Laheriasarai railway station protesting against #CitizenshipAct and National Register of Citizens. #Bihar pic.twitter.com/Gf8h9WKwrx
— ANI (@ANI) December 19, 2019
অন্যদিকে পূর্ব-মধ্য রেলের দানাপুর ও সোনাপুর বিভাগের অন্তর্গত সাহারসা ও ইসমাইলপুরে বনধ সমর্থকরা ৬৩৩৪৩ সাহারসা-সমস্তিপুর প্যাসেঞ্জার সহ দুটি ট্রেন আটকে দেয়। রেল পরিষেবা ছাড়াও, রাজ্য জুড়ে জাতীয় সড়কও অবরোধ করে বিক্ষোভকারীরা। যার ফলে যান চলাচল সম্পূর্ণ রূপে স্তব্ধ হয়ে পড়ে।