ন্যাপকিনে ১২ শতাংশ জিএসটি, গোয়ালিয়রের মহিলারা 'মনের কথা' পাঠাচ্ছেন মোদীকে
স্যানিটারি ন্যাপকিনে ১২ শতাংশ জিএসটির বিরুদ্ধে এক অভিনব প্রতিবাদ। মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের ন্যাপকিনে লেখা হচ্ছে 'মনের কথা'। লক্ষ্য ৩ মার্চ নাগাদ সরকারের কাছে এইরকম ১০০০ টি প্যাড পাঠানো।
স্যানিটারি ন্যাপকিনে ১২ শতাংশ জিএসটির বিরুদ্ধে এক অভিনব প্রতিবাদ। মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের একদল সমাজকর্মী মাসিক ও স্যানিটারি ন্যাপকিন নিয়ে তাদের ক্যাম্পেন শুরু করেছেন। ন্যাপকিনে লেখা হচ্ছে 'মনের কথা'। লক্ষ্য ৩ মার্চ নাগাদ সরকারের কাছে এইরকম ১০০০ টি প্যাড পাঠানো।
অনেক কিছুর সঙ্গেই জিএসটি বসেছে স্যানিটারি ন্যাপকিনেও। শারীরিক কারণে প্রয়োজনীয় এই জিনিসটির প্রয়োজনীয় বুঝিয়ে এর আগে অনেক প্রতিবাদ হয়েছে। প্রতিবাদ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থাও হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কাছে।
এবার মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে শুরু হয়েছে অভিনব প্রতিবাদ। সমাজকর্মী প্রীতি যোশী এবং হরি মোহন এই প্রতিবাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাঁদের দাবি, জিএসটি ফ্রি ন্যাপকিন। ন্যাপকিনে লেখা হচ্ছে 'মনের কথা' ।
প্রীতি যোশী জানিয়েছেন, ৪ জানুয়ারি এই ক্যাম্পেন শুরু হয়েছে। গ্রামীণ এলাকার মহিলারা স্যানিটারি ন্যাপকিনের জন্য ১০০ টাকা খরচ করতে পারেন না। ফলে স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার থেকে তাঁরা দূরে সরে যাচ্ছেন। রোগকেই ডেকে আনছেন তাঁরা। তাঁদে দাবি, ফ্রি ন্যাপকিন না হলেও, জিএসটি ফ্রি ন্যাপকিন মহিলাদের দিতে হবে।
হরি মোহন জানিয়েছেন, স্যানিটারি ন্যাপকিনকে ১২ শতাংশ জিএসটির অধীনে রাখা হয়েছে। ভর্তুকিতে দেওয়ার বদলে, ন্যাপকিনকে লাক্সারি আইটেমে অধীনে রাখা হয়েছে। সেই জন্যই এই ক্যাম্পেন শুরু করা হয়েছে। তাদের লক্ষ্য ৩ মার্চ নাগাদ সরকারের কাছে এইরকম ১০০০ টি প্যাড পাঠানো।
#MadhyaPradesh: A group of social workers in Gwalior start a campaign encouraging women to write down their views on menstrual hygiene on sanitary napkins to mark their protest against it being placed under 12% GST. pic.twitter.com/1SKIFiuErP
— ANI (@ANI) January 9, 2018
We started campaign on 4th January. Women in rural areas can't spend Rs 100 on sanitary napkins. This situation discourages them from using sanitary napkins all the more. They end up falling prey to diseases. Free napkin, at least GST free napkins, must reach women: Preeti Joshi pic.twitter.com/cQoaWm2hD4
— ANI (@ANI) January 9, 2018
নভেম্বর ২০১৭-তে দিল্লি হাইকোর্ট সরকারকে জিজ্ঞাসা করেছিল, স্যানিটারি ন্যাপকিনকে কেন জিএসটির আওতার বাইরে রাখা হয়নি, যেখানে টিপ, সিন্দুর, কাজলকে এই আওতায় রাখা হয়েছে। জেএনইউ-এর পিএইচডি স্কলার জারমিনা ইসরার খানের আবেদনের ভিত্তিতে শুনানি হয়েছিল। সেখানে ন্যাপকিনে ১২ শতাংশ জিএসটি বসানোকে অসাংবিধানিক বলে দাবি করেছিলেন জারমিনা ইসরার খান।