দুই ‘ঝঞ্ঝা’ আছড়ে পড়ল রাজ্যের রেল পরিষেবায়, জেনে নিন কোপ পড়ল কোন ট্রেনে
উত্তরের কুয়াশা আর উত্তর-পূর্বের অবরোধের ব্যহত রাজ্যের রেল পরিষেবা। যার ফলে মঙ্গলবার সকাল থেকেই নাকাল হতে হল যাত্রী সাধারণকে।
একসঙ্গে দুই 'ঝঞ্ঝা'য় ব্যহত হল ট্রেন চলাচল। উত্তরের কুয়াশা আর উত্তর-পূর্বের অবরোধের ব্যহত রাজ্যের রেল পরিষেবা। যার ফলে মঙ্গলবার সকাল থেকেই নাকাল হতে হল যাত্রী সাধারণকে। ইতিমধ্যেই কুয়াশার জেরে ১৮টি দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। উত্তর ভারতের সঙ্গে কলকাতা-হাওড়ার মধ্যে চলাচলকারী ৩২টি দূরপাল্লার ট্রেন চলাচলেও প্রভাব পড়েছে। দূরপাল্লার ট্রেনগুলি প্রায় এক ঘণ্টা থেকে সাত ঘণ্টা পর্যন্ত দেরিতে চলছে। সেইসঙ্গে অসমে তিনটি স্টেশনে ট্রেন অবরোধের প্রভাব পড়েছে এ রাজ্যেও।
উত্তর ভারতে কুয়াশার জেরে বিভূতি এক্সপ্রেস ৭ ঘণ্টা, অমৃতসর ৬ ঘণ্টা, যোধপুর ৫ ঘণ্টা, মুম্বই মেল ৫ ঘণ্টা, হিমগিরি এক্সপ্রেস ৩ ঘণ্টা, দিল্লি-শিয়ালদহ দুরন্ত ২ ঘণ্টা, আজমেঢ় দেড় ঘণ্টা দেরিতে চলছে। এই কুয়াশার দাপটে ট্রেনের গতি একেবারেই কমে গিয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে ট্রেন ছাড়তেই পারেনি স্টেশন থেকে। শুধু দূরপাল্লার ট্রেনই নয়, লোকাল ট্রেনও নির্দিষ্ট সময়ে চলছে না। দেরিতে চলছে।
অন্যদিকে বোড়োল্যান্ডের দাবিতে এদিন সকাল থেকে অসমের তিনটি স্টেশনে দফায় দফায় অবরোধ চালাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। যার প্রভাব এসে পড়েছে এ রাজ্যেও। কোকড়াঝাড়, মজবুত ও সৌরপাথর স্টেশনে অবরোধ করে ৫-৬টি সংগঠন। আদিবাসী ন্যাশনাল, লিবারেশন আর্মি, আদিবাসী পিপলস আর্মি, বিরসা কমান্ডোদের পক্ষ থেকে এই অবরোধ করা হয়।
এর ফলে থমকে যায় উত্তর-পূর্ব সমীন্তের রেল পরিষেবা। যার প্রভাবে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, ধূপগুড়ি, কোচবিহার ও অসমের অনেক স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে এক্সপ্রেস ট্রেনগুলি। বোড়োল্যান্ডের এই দাবির ফলে আটকে পড়ে গান্ধীধাম এক্সপ্রেস, পদাতিক এক্সপ্রেস, উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস, দার্জিলিং মেল, সরাইঘাট এক্সপ্রেস-সহ অন্যান্য ট্রেন।
এই অবরোধের পর থেকেই কোকরাঝাড় স্টেশনে অবরোধকারীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন রেলকর্তারা। আলোচনার পর সম্মত হলেও আন্দোলনকারীরা অবরোধ তুলে নেয়নি পুরেপুরি। দফায় দফায় অবরোধ চলতে থাকে। ফলে স্বাভাবিক হতে পারেনি রেল পরিষেবা।